টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৩০০০০ পিস ইয়াবা সহ আটক ১

প্রকাশিত: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ | আপডেট: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ,

ফাহাদ আহমেদ মিঠু: বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ উপজেলার বড়ইতলী নামক এলাকা দিয়ে মায়ানমার হতে মাদকের চালান বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে অপারেশন অফিসারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক রাত ২০:১০ ঘটিকায় সংঘবদ্ধ মাদক ও মানব পাচারকারীচক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৫), পিতা-মোহাম্মদ শাহ, গ্রাম-বড়ইতলী, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এর বাড়িতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ব্যক্তির বাড়ির পিছনে লাকড়ির স্তুপের ভিতর হতে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এবং সেইসাথে মোঃ সিরাজুল ইসলাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত সিরাজুল ইসলামের প্রদত্ত স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরো জানা যায় যে, সে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নাফ নদীর পাড় হতে মোঃ আল-আমিন (২৮), পিতা-নুরুল আমিন, গ্রাম-বড়ইতলী, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এর নিকট ৫০০০/- টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। তার নিকট হতে ইয়াবা বিক্রয়ের নগদ ৫,০০০/- টাকাসহ ০২টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ সর্বমোট সিজারমূল্য-৯০,১০,৫০০/- (নব্বই লক্ষ দশ হাজার পাঁচশত) টাকা।

 

আটককৃত ও পলাতক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন এবং বাংলাদেশী টাকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, আটককৃত সিরাজুল ইসলামকে ইতোপূর্বে গত ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে ২০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অবৈধভাবে মাদক বহন ও মানব পাচারের দায়ে আটক করা হয় এবং নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। যার মামলা নম্বর-৮৮ তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২২। উক্ত আসামী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ জামিনে মুক্ত হয়ে পূনরায় ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত হয়।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *