ডেমরা থানার ওসি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩ | আপডেট: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ,

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শহিদুল ইসলাম জনি : ডিএমপি ডেমরা থানার ওসি মোঃ শফিকুর রহমানকে প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ডেমরা এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

 

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সমাজ ব্যানারে এই মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এসএম মোর্শেদ, যাত্রাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি, দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাদ্দাম, পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল, সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী,দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন আকাশ, ও শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম জনি, জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম সভাপতি সাহেল আহম্মেদ সোহেল, জুরাইন প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ্ মোয়াজ্জেম, সহ-সভাপতি রাসেল কবির,

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পএিকার মোজামেল হক, কবির শাহ্ ৭১ বাংলা বার্তা, ইমরান হোসেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ কর্মীগণ।

 

ডেমরা থানা এলাকার পুর্ববক্সনগরে একটি অনুমোদন বিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএমডিসির ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যাবহার করে চিকিৎসা সেবার নামে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিলেন কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি।এমন সংবাদের ভিত্তিতে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার হৃদয় ইসলাম ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘বাংলা টিভি’র ক্যামেরাপারসন সারোয়ার হোসেনসহ অপর দুই সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

 

এসময় ভুয়া ডাক্তার ও তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার হৃদয়। লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

 

ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি এসআই সায়মুম কে ঘটনা স্থলে পাঠালে তিনি ভুয়া ডাক্তার ও তার সন্ত্রাসীদের আটক না করে ২ জন সাংবাদিককে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় এনে আটক করে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। এ সময় তাদের ব্যাবহৃত একটি ক্যামেরা হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আরোএকটি ক্যামেরা এসআই সায়মুম নিজ হেফাজতে নিয়ে হামলার গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ডিলেট করে দেয়।

 

পরবর্তীতে প্রায় ২০ জন বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিক থানায় গিয়ে আটক সাংবাদিকদের ছারিয়ে নিয়ে আসেন। ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিলে ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ।ওসি সকল সাংবাদিকদের সামনে ভুক্তভোগীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সাংবাদিক সমাজ কে কটাক্ষ করে কথা বলেন।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *