নোংরা পরিবেশে পরোটা-মিষ্টি আজিজিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারে

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩ | আপডেট: ১১:১৫ অপরাহ্ণ,

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুরাইনে অভিজাত মিষ্টির দোকান বলতে আজিজিয়া মিষ্টির দোকান নামেই সুপরিচিত। এটা ঢাকা – মাওয়া মহা সড়কের জুরাইন সালাউদ্দিন আহমেদ পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থিত। এই দোকানটি প্রায় ৫০ বছর ধরে এখানে ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এত পুরানো একটি অতি পরিচিত দোকান অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দোকানের যাচ্ছেতাই অবস্থা।

 

এ দোকানটিতে মূলত সকালে ও বিকেলে পরোটা তৈরি করা হয়। যার মূল ভোক্তা এলাকার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা না করে দোকানটি নোংরা ও দূষণযুক্ত পরিবেশে খাবার তৈরি করে ঝুঁকিতে ফেলছে ভোক্তাকে। তাদের পরোটা বানানোর কাজে ব্যবহৃত তাওয়াটি একদম সড়কের পাশেই বসানো হয়েছে।

 

যে সড়কটি আবার তিনটি রাস্তার সংযোগস্থল। এর ফুটপাত দিয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে। তাদের চলাফেরার সময় সৃষ্ট ধুলাবালী পরোটা বানানোর তাওয়া এবং আটা তে এসে সরাসরি পরে। যা পরবর্তিতে ভোক্তাদের পাকস্থলিতে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি করছে।

 

এ ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। এসব বাহনের সৃষ্ট ধুলা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরোটার মাধ্যমে ভোক্তাদের পাকস্থলীতে যাচ্ছে যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি সৃষ্টি করছে।

 

শুধু পরোটাই নয় ।এখানে জিলাপি ও রসগোল্লাও তৈরি হচ্ছে নোংরা পরিবেশে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট আজিজিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের পেছনের কক্ষটি পুরোটাই মিষ্টি তৈরির কারখানা, সেখানকার পরিবেশ খুবই বাজে ও নোংরা। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিয়মিত ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদক কে বলেন, এই দোকানটি ৪৫ থেকে ৫০ বছর ধরে এখানে আছে। অনেক মানুষ এখানে সকালের নাস্তার জন্য আসে । অথচ তাদের নাস্তা তৈরির পরিবেশ দেখে অবাক হয়ে যাই। কি নোংরা পরিবেশে তারা খাবার তৈরে করছে। এগুলো অসচেতন কিছু মানুষরা খাচ্ছে এবং সল্প থেকে দির্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতেছে। এগুলো দেখেও যেনো দেখার কেউ নেই। এগুলো নিয়ে বলার কেউ নেই।

 

এ বিষয়ে দোকানের ম্যানেজার বলেন, আমাদের দোকানটির মালিক মৃত আজিজুর রহমান। বর্তমানে তার ছেলেরা দেখা শোনা করছে। এ দোকানটি ৫০ বছর ধরে মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। খাবারের নোংরা পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

তিনি আরো বলেন, হোটেলের তাওয়া সবসময় দোকানের সামনেই থাকে। তাই এটা হোটেলের সামনে অর্থাৎ রাস্তার পাশে। এটা এখান থেকে সরানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। কারণ এখানের রাস্তা প্রশস্তের কাজ শুরু হলে তাদের হোটেলের সামন পর্যন্ত জায়গায় রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *