মমিনপুরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর ন্যায় বিচার চাইলে হুমকি। থানায় মামলা

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৩ | আপডেট: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ,

হীমেল কুমার মিত্র

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রংপুরে দিনের পর দিন জোর পূর্বক ধর্ষণ করার পর ন্যায় বিচার চাইতে গেলে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান। পরে ধর্ষিতা বাদি হয়ে রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। ধর্ষিতার জবানী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার সদর উপজেলার কোতয়ালী থানাধীন মমিনপুর রেজানগরের এন্দাদুল ইসলামের মেয়ে পারভীন আক্তার (২৩) ‘সুলতানা বেগম’ পল্লী উদ্যোক্তা (উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চতকরণ কর্মসূচী প্রকল্প হতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত) সেখানে হেলপার হিসেবে কাজ করেন সেখানে সুজনার রশিদ সুজন সুপারভাইজারের কাজ করেন। সেখানে ডে-নাইট কাজ চলে। সুজন আগে থেকেই পারভীনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

৯মাস পূর্বে ১দিন নাইট ডিউটি চলাকালীন পারভীন রাত ১২টার দিকে সুতা আনার জন্য পাশের টিনসেট রুমে গেলে সুজন পিছু নিয়ে রুমে এসে দরোজা বন্ধ করে দিয়ে পারভীনকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে। লজ্জায় ধর্ষণের কথা পারভীন চেপে যায়। এরই মধ্যে সুজন গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও দেখাইয়া পারভীনকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করিতে থাকে।

একইভাবে গত ৯মার্চ/২০২৩ তারিখে রাতে সুতা আনার জন্য টিনসেট রুমে গেলে আবারো জোর পূর্বক সুজন ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং সময় ক্ষেপন করিতে থাকে ঘটনাটি তার বাবা হাফেজ মিয়া ও মা সুলতানা বেগমকে জানালে তারা পারভীনকে হুমকি ধামকি দিয়ে তারিয়ে দেয়।

পরে (৫ এপ্রিল ) ধর্ষণের স্বীকার পারভীন তার বোন কাজলীকে নিয়ে সুজনের বাসায় গেলে সুজনের বাবা-মা দোষারোপ করে পারভীনকে তারিয়ে দেয় এবং খুন, জখম, ভয়ভীতি, হুমকি, ধামকি প্রদান করেন।

এমতাবস্থায় দিশা হারিয়ে ফেলে উপায়ন্তর না পেয়ে থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মামলাটি গ্রহন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *