নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার শ্যামপুর থানার ফরিদাবাদ এলাকায় ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মাসুম ইসলাম রাহাত। গতকাল গভীর রাতে (প্রায় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে) বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ওরফে বালতি জাহাঙ্গীর, মেজু ও ফারুকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাহাতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাংবাদিক রাহাত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীদের ছবি তুলছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে লক্ষ্য করে হামলা করে গুরুতর আহত করে। শুধু তাই নয়, তার বাসা-বাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়।
ঘটনার সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেও সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সবাইকে পিছু হটতে বাধ্য করে। গুরুতর আহত সাংবাদিক মাসুম ইসলাম রাহাতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো—এই হামলার ঘটনাস্থলে শ্যামপুর থানার পুলিশ সদস্য এএসআই জাহিদুল উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই হামলা ও ভাঙচুর হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। বরং সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে তারা ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, বারবার একই সন্ত্রাসী চক্রের হাতে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হলেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে নিন্দার ঝড় বইছে।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—বরং দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করতে গেলেই হামলার মুখে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে শ্যামপুর থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে স্থানীয়রা দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।