হীমেল কুমার মিত্র, স্টাফ রিপোর্টার :আজ রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ শে আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ শে আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাকান্ডের ভয়াল দিন। এই নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৯তম বার্ষিকী।
১৯ বছর আগে এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো মামলার ১৩ আসামী এখনো ধরা পড়েনি। গ্রেফতার না হওয়া আসামীদের মধ্যে ৪ জনের নাম আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার ( ইন্টারপোল) ওয়েবসাইটের রেড নোটিশে দীর্ঘদিন থেকে ঝুলছে। অধরা আসামীদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ছাড়া বাকিরা কে কোথায় তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই আইন- শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। হামলায় শেখ হাসিনা সহ আহত হন ৩ শতাধিক নেতাকর্মী।
হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
জঙ্গিদল হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান সহ ২২ জনকে আসামী করা হয়। থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় হয়। বিএনপি - জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনের মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় রায়ে। আর তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী সহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের সময় লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ৩১ আসামীকে কারাগারে দেখানো হয়। আর তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী সহ ১৮ জন আসামীকে পলাতক দেখানো হয়।
আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি পালনে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।