গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের পাঠানডাঙ্গা (ঘোষেরভিটা) গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও স্বামীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী জমিলা আক্তার (৩৯) জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে উত্তর রামনাথের ভিটা গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জমিলার সঙ্গে মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে জাহিদ হাসান (৪৫) এর বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে (২২) ও এক মেয়ে (১৮) রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জাহিদ নেশা ও জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং নিয়মিত যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই জাহিদ দ্বিতীয় বিয়ে করে মুন্নি বেগম (২৮) নামের এক নারীকে। এরপর জমিলার ভরণপোষণ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে জুয়া ও নেশার টাকার জন্য ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। জমিলা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জাহিদ, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি বেগম, দেবর জাকির হোসেন ও সহযোগী সাহারুল ইসলাম মিলে তাকে এলোপাথারি মারধর করে মেঝেতে ফেলে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে।

এ সময় জমিলার মেয়ে জেমি আক্তার মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পরদিন স্বজনরা মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গুরুতর আহত জমিলাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।