নিজস্ব প্রতিবেদক: জুরাইন থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ি পর্যন্ত রুটে চলাচল করে রাইদা পরিবহনের বাস। কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনের অতিরিক্ত বাস যেমন চলছে তেমনি নেই তাদের কাউন্টারের অস্তিত্ব। বরং শহরের একাধিক স্থানে রয়েছে রাইদা পরিবহনের অবৈধ স্টান্ড। বিশেষ করে জুরাইন রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে এই বাসের আস্ফালন চলছে। সড়কের উপর বানিয়েছে অবৈধ স্টান্ড।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চলন্ত বাসে যাত্রী উঠা নামা করানো হচ্ছে। চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানোর তাড়াহুড়োয় প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই এই রুটের মানুষ বাসে ওঠানামা করে।
এদিকে যানজট নিরসন সহ বিভিন্ন কারণে একাধিকবার এই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আশানুরূপ কাজ হয়নি বলে জানান জুরাইনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের নিকটবর্তী জুরাইন মোড়ে ৮টি রাইদা পরিবহনের বাস সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। প্রতি ৪ থেকে ৫ মিনিট পর পর একটি নতুন বাস দাড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে। সড়কের একদিকের দুই লেনের মধ্যে এক লেন অবৈধ স্টান্ডের দখলে পড়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত যানবাহন একলেনে থাকায় হচ্ছে বাড়তি যানযট। জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিপরীতে প্রতিদিনের এই যানযট চিত্র তৈরী হলেও এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নেই। বরং জুরাইন মোড় থেকে সালাউদ্দিন পেট্রোল পাম্পের সামনে চলন্ত গাড়িতেই উঠায় যাত্রী। যাত্রী উঠানোর ধস্তাধস্তিতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সারাদিনই একটি গাড়ি আরেক গাড়ী সাথে রেষারেষি লেগেই থাকে।
জানা যায়, গত কিছুদিন আগে জুরাইন টাওয়ারের সামনে রাইদা পরিবহনের দুটি বাসের যাত্রী উঠানো নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময়ে দু’টি বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে ফারুক নামে একজন রিকশাচালক মারাত্মক আহত হয়।
বিআরটিএ ঢাকা বিভাগের সূত্রমতে, বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনকৃত রাইদা পরিবহনের বাস রয়েছে ৯৩টি। কিন্তু এই রুটে রাইদা পরিবহনের বাস চলছে প্রায় দেড় শতাধিক। রাইদা পরিবহনের বাসের রুট পারমিট অনুযায়ী বাসটি পোস্তগোলা ব্রিজের নীচ থেকে জুরাইন রেলগেট হয়ে প্রবেশ করবে ধোলাইপাড় রোডে। কিন্তু নিয়ম না মেনে ব্রীজের নীচে না থামিয়ে গাড়িগুলো পোস্তগোলার ব্রীজের ঢালে অথবা জুরাইন মোড়ে একটি স্টান্ডে বানিয়ে সেখান থেকে যাত্রী উঠানো হয়।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রতিদিন একাধিকবার রাইদা বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, নিয়মিত ডাম্পিং করছি। এ কারণে পূর্বের তুলনায় রাইদা বাস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো কিছুটা কমেছে। আমরা এই বিষয়টা নিয়ে একাধিক মিটিং করেছি। শীগ্রই এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।