নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনে একতারা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এদিকে প্রতীক হাতে পাওয়ার পর সাংবাদিকদের হিরো আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হলে তিনি নিশ্চিত জয়লাভ করবেন।

গত ৮ জানুয়ারি হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুই আসনের প্রতিটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল আছে উল্লেখ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

পরে আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। পুনর্বিবেচনা শেষে কমিশন তার আপিল আবেদন খারিজ করে দিলে হিরো আলম উচ্চ আদালতে যান।

পরে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হিরো আলমকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম বলেন, আমি সিংহ প্রতীকে ভোট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিংহ প্রতীক অন্য একটি নিবন্ধিত দলের জন্য নির্ধারিত। আমি অভিনয় অঙ্গনের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। তাই পরে একতারা প্রতীক নিয়েছি। একতারা প্রতীক পেয়ে আমি খুশি। গতবারের মতো এবারও আমার অনেক যুদ্ধ করে প্রার্থিতা পেতে হয়েছে। কেন বারবার এমন হয়রানি করা হয় জানি না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নিশ্চিত জয়লাভ করব।

গতবারের নির্বাচনের প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার লোকজন কম ছিল। সে সময় নির্বাচনের মাঠে আমার সঙ্গে মারামারি হয়েছিল। পরে আমি ভোট বর্জন করি। এবার আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী সমর্থক অনেক। কেউ হামলার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে। তবে সে ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা চাই। প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে আসতে পারে।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি খুশি। কারণ এতো সংগ্রাম, লড়াই করার পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল যে হাইকোর্টে গিয়ে ন্যায় বিচার পাব। সেটা পেয়েছি। অবশ্যই আমি খুশি।

প্রচারণার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে একতারা প্রতীক নিয়ে দুই আসনেই প্রচারণায় নেমে পড়ব। দুই আসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। এবারের প্রচারণায় বড় ধরনের চমক থাকবে।

জনসাধারণের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, আপনাদের ভালবাসার কারণে এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। আপনারা পাশে থাকবেন। সত্যের জয় সবসময় হয়, এবারও হবে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।