ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনসম্পৃক্ততাই পুলিশের সবচেয়ে বড় সাফল্যের চাবিকাঠি। স্থানীয় নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় ল’ অ্যান্ড অর্ডার কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এলওসিসি) আয়োজিত এক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগ ও অর্থায়নে পুরো অঞ্চল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এসেছে। ফলে দ্রুত অপরাধ শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।
এলওসিসির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত জানান, পুলিশ ও নাগরিকদের আস্থা বাড়াতে ১৩ বছর আগে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ২৫টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও বর্তমানে প্রায় ১,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে গুলশান–বারিধারা অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মহাসচিব শামসুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, “জনগণের অর্থায়নে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ডিএমপির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।” সহ-সভাপতি শওকত হোসেন দিলন জানান, ক্যামেরা স্থাপনের ফলে এলাকায় স্ট্রিট ক্রাইম এখন নেই বললেই চলে।
সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা মত দেন যে নাগরিক-পুলিশ সহযোগিতার এই উদ্যোগ রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও অনুকরণীয় মডেল হতে পারে। পরে ডিএমপি কমিশনার গুলশান থানা ভবনে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।