বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ভারতীয় প্রভাবের ভিত্তিতে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। তাই বাংলার মাটিতে এ সংবিধান আর চলতে দেওয়া হবে না।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় গোপালগঞ্জ পৌরপার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক বলেন, “১৯৭১ সালে আমরা জুলুম ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সুফল সাধারণ মানুষ পায়নি। স্বাধীনতার পর ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৭২-এর সংবিধান চাপিয়ে দেয়, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৪৭ সালে মুসলিম জাতিসত্ত্বার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের আত্মত্যাগে আমরা পিণ্ডির আধিপত্য থেকে মুক্ত হই। এখন প্রয়োজন ইনসাফভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, “জুলাই সনদের ভিত্তিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও উচ্চকক্ষ গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমতে আসেনি, যা দুঃখজনক। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও দেশে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমরা প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাই।”
তিনি গোপালগঞ্জকে ইসলামের দুর্গে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “পিলখানা, শাপলা চত্বর ও ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে তাদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা।”
সমাবেশে জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ফারুক হাসান নদভীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমান, মুফতি শরাফত হোসেন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা নাসির উদ্দিন আহমাদসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।