অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বড় রদবদলের প্রস্তুতি


আগামী এক মাসের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বড় ধরনের রদবদল আসছে। নির্বাচনের আগে প্রশাসনের গতি বাড়ানো, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের ইমেজ রক্ষা এবং কাজের চাপ কমানোর লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই কয়েকজন বিশেষ সহকারীকে রদবদলের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু উপদেষ্টাকে তাঁদের দপ্তর পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই রদবদলের মাধ্যমে নতুন মুখও যুক্ত হবেন উপদেষ্টা পরিষদে।
বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদে ২২ জন সদস্য ৪১টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুজন উপদেষ্টা তিনটি করে মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। শেখ বশিরউদ্দীন সামলাচ্ছেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১০ জন উপদেষ্টা দুইটি করে মন্ত্রণালয় দেখছেন।
সবচেয়ে বেশি ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দেখভাল করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর অধীনে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদমর্যাদার বিশেষ সহকারী, বিশেষ দূত ও হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ বর্তমানে রয়েছেন তিনজন। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার বিশেষ সহকারী রয়েছেন ছয়জন এবং একজন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার বিশেষ সহকারী আছেন। প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার সংখ্যা না বাড়লেও তাঁদের দপ্তরে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
সূত্র বলছে, এবারকার রদবদলে বড় চমক থাকবে। বড় মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকজন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে অপেক্ষাকৃত ছোট মন্ত্রণালয়ে। আবার ছোট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা কেউ পেতে পারেন বড় দায়িত্ব। পাশাপাশি সরকারের বাইরে থেকে নতুন মুখ অন্তর্ভুক্তিরও প্রস্তুতি চলছে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ক্লিন ইমেজ নিয়ে দায়িত্ব ছাড়তে চায়—এই রদবদলের উদ্যোগ তারই অংশ বলে জানা গেছে।