আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী বিএনপির এক সংগ্রামী ও রাজপথের অগ্নিশিখা

প্রকাশিত: 1:03 am, September 3, 2025 | আপডেট: 1:03 am,

আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী বিএনপির এক সংগ্রামী ও রাজপথের অগ্নিশিখা

এম রাসেল সরকার:
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ভয়ঙ্কর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকা, পরিবার-পরিজনের ওপর নির্যাতন-এসব কঠিন সময় পেরিয়ে সাবেক কাউন্সিলার আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী নেতা হিসেবে সবসময় অটল হয়ে আছেন।

রাজনীতি তার কাছে কখনোই কেবল ক্ষমতার লড়াই ছিল না। এটি ছিল এক মহৎ ত্যাগযজ্ঞ-অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার অদম্য শপথ। সেই শপথ নিয়েই সাড়ে পনেরো বছর ধরে রাজপথে বুক চিতিয়ে লড়েছেন আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী। সেই দীর্ঘ সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ওয়ারী থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন।

আন্দোলনের পথে ঝড়ঝাপটা :

যেদিন শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন বিএনপি ও বিরোধীদলের কণ্ঠরোধ করতে শুরু করল, সেদিন থেকেই আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী রাজপথকে নিজের ঘর বানালেন। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট, লাঠির আঘাত কিংবা মামলা-কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। দিনের পর দিন তাকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে, কখনো কারাগারের অন্ধকার সেলে কাটাতে হয়েছে মাসের পর মাস। তবু তিনি হার মানেননি।

রাজপথে পড়ে থাকা আহত নেতাকর্মীদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি, পুলিশের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েও দাঁড়িয়ে থেকেছেন পতাকার নিচে। চোখে ছিল একটাই দৃঢ় বিশ্বাস-গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই হবে, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই হবে।

স্বৈরাচার হাসিনা পতন আন্দোলনের অগ্রসৈনিক :

গত দেড় দশক বাংলাদেশে ছিল ভয়াবহ দমন-পীড়নের সময়। বিরোধীদলের সভা-সমাবেশ, মিছিল, এমনকি ঘরে বসেও শান্তিতে থাকা যায়নি। সেই অন্ধকার সময়ে বুক চিতিয়ে রাজপথে থাকা নেতাদের মধ্যে অগ্রসারিতে ছিলেন বিএনপির নেতা সাবেক কাউন্সিলার আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী।

যখনই পুলিশি হামলা হত, তখনই তাকে সামনে দেখা যেত। দলের বিপদে তিনি হয়ে উঠতেন দৃঢ় প্রাচীর। তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ওয়ারী থানা রাজপথ মুখর ছিল বিক্ষোভ, শ্লোগান ও প্রতিরোধে। তার নাম উচ্চারণ মানেই নেতাকর্মীদের চোখে সাহস জ্বলে ওঠা। শহীদ জিয়ার আদর্শ ও তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাই তাকে বানিয়েছে আন্দোলনের প্রতীক। দলের অনেকে যখন দুঃসময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেত, আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী তখনও রাজপথেই ছিলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ওয়ারী থানা পুনর্গঠন ও শক্তিশালী নেতৃত্ব :

হাসিনার পতনের পর সাবেক কাউন্সিলার আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ওয়ারী থানা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে দল পূর্ণগঠনের দায়িত্ব পালন এবং দল তৃণমূলে বিশাল শক্তি সঞ্চয় করছে। এই কর্মকাণ্ড শুধু সংগঠনকে শক্তিশালী করেই রাখছে না, বরং ভবিষ্যৎ নির্বাচনী জয়ের সম্ভাবনাকেও নিশ্চিত।

শহীদ জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন নিজের ঘাম আর রক্ত। আন্দোলনের মিছিলে উচ্চারণ করেছেন তার নাম। তারেক রহমানের প্রতি ভালোবাসা তাকে শক্তি দিয়েছে প্রতিটি আঘাত সামলাতে। আলহাজ্ব হাজী লিয়াকত আলী কেবল একজন নেতা নন; তিনি প্রতিরোধের প্রতীক, সংগ্রামী।

আজ তিনি শুধু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওয়ারী থানা নয়, দেশের সব বিএনপি কর্মীর জন্য এক অগ্নিশিখা। তার সংগ্রাম, সাহস ও ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা ও উদাহরণ হয়ে থাকবে।

ওয়ারী থানা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের সংগ্রামী ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দরা সাধুবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ওয়ারী থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন তিনি। এটি শুধু একটি দায়িত্ব নয়, বরং তাঁর অবিচল নেতৃত্ব ও ত্যাগের প্রতি দলের আস্থা ও জনগণের বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই যোগ্য সিদ্ধান্তের জন্য দেশনায়ক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন এবং দলের সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দকে ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষ থেকে অফুরন্ত অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানাই।

আমরা বিশ্বাস করি, তাঁদের দিকনির্দেশনা ও সাবেক কাউন্সিলার লিয়াকত সাহেবের সাহসী নেতৃত্বে ওয়ারী থানা বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *