ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
তোফায়েল আহমদ : সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো চীফ:::
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম, কলেজের কার্যক্রম পরিচালনায় সঠিক খরচের চাইতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ভাউচার তৈরী করা ও দুর্নীতির অভিযোগে তাদের অপসারণের দাবীতে প্রায় এক মাস যাবত ক্লাশ বর্জন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অবশেষে অধ্যক্ষ রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। (১২ জুন) বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা ব্যাপী অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও প্রভাষক নাজমুল হুদার অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থার সৃস্টিসহ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে কলেজটি। এ নিয়ে গত এক মাস ধরে কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করলেও দেখার যেন কেউ নেই।প্রতিবাদ সভায় তারা আরো বলেন, ১৯৯৫ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগন কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজটির যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। সেই সুনাম দুর্নীবাজ শিক্ষকদের কারনে ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা সেটা করতে দিবনা। কলেজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যা প্রয়োজন,তাই করা হবে। এতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণের দাবি জানান। অন্যতায় আগামী ৩০ জুন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেনা। আন্দোলনের কারনে শিক্ষার্থীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন,এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেন শিক্ষার্থীরা।পরে তারা অধ্যক্ষর রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ৪ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদা। তাদের অপসারণের দাবিতে গত ১ মাস ধরে ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রতিদনই কলেজবক্যাম্পাসে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করছেন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও এখন পর্যন্ত গভর্নিংবডির সভা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে আন্দোলনের কারনে গত ৪ জুনের এইচএসসি ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।