এড.রুহুল আমিন দুলালের কুড়িগ্রাম-২ নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশি গনসংযোগ

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩ | আপডেট: ৭:৫২ অপরাহ্ণ,

হীমেল কুমার মিত্র, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের অন‍্যতম সদস্য কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, শহর ও লোকালয়ের জনসাধারণের মাঝে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির লিফলেট বিতরণে মধ্যে দিয়ে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সু-যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সর্বদা ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান ও প্রস্তুতি সফলের পথেসহ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিরবে-নিভৃতে ভূমিকা রেখে চলেছেন। গনসংযোগে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন এবং আবারও সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান। গনসংযোগকালে বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে এবং তারা সফল সরকার ও নৌকা প্রত্যাশি রুহুল আমিন দুলালকে নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

সম্প্রতি, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৬, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল এলাকায় গণ-সংযোগ চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নৌকা মার্কার পক্ষে তিনি জনমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হিংগনরায় বাসষ্ট্যান্ড পাড়া এলাকার মরহুম সোলায়মান মিঞার পুত্র আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল। কুড়িগ্রামে তিনি ছাত্র জীবনে শৈশব কাটিয়েছেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৯৮৪সালে এসএসসি, ১৯৮৬সালে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯১সালে ডিগ্রি পাশ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৩সালে এম.এ এবং ২০০৭সালে এলএল.বি পাশ করেন। একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল নিজের কর্ম-দক্ষতা কাজের মাধ্যমে সবার কাছে প্রমাণ করেছেন তিনি কুড়িগ্রামের একমাত্র আওয়ামী লীগের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কান্ডারী।

আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ২০০৫সাল থেকেম ২০১৪সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ২০০৩সাল হতে ২০১২সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যসহ কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য পদে রয়েছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বহুবার নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ২০০৪সালে জাতীয়তাবাদী দলের অফিস পোড়ানো মামলার আসামী, ২০০৬ সালে লগী-বৈঠা দিয়ে শিবির কর্মী হত্যা মামলার আসামী, বিএনপি অফিস ভাংচুর জিয়া ও খালেদার ছবি পোড়ানো মামলার আসামী ছিলেন। ২০০৭সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সুধাসদনের বাস ভবনে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন এবং ২০১০সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৬সালে আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল নিজে বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক উন্নয়ন ও সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছেন। কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক গ্রুপের প্রচার সম্পাদক, হিজবুল আরাফাত (হাজ্বী সমিতি) এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, ক্লাব-৮৪ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বাস-টার্মিনাল মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক, কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসার মসজিদ কমিটির সদস্য, স্টাফ কোয়াটার মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক, জেলা ট্রাক্টর মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা হিসেবে আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল নিজেকে সামাজিক কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে যুক্ত থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। তিনি আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গনসংযোগ করে মানুষের মনে প্রীতি, আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলীয় সিদ্ধান্তসহ জনগণের সমর্থনে এমপি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুন্নত এলাকায় পাটক্রয় কেন্দ্র, অসহায় দুস্থ্য মহিলাদের প্রশিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, তাঁত শিল্প ও হস্তশিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম ও আছি এবং থাকবো। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নয় বরং কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট উপজেলার দরিদ্র-পিড়িত অধিকার বঞ্চিত নদী ভাঙন কবলিত মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কার নির্মাণ, বেকারত্ব দুরীকরণ, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, শহর ও লোকালয়ের আমার প্রাণ-প্রিয় জনসাধারণের মাঝে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে। আবারও সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় আনার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *