কোন পথে বাংলাদেশ?

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৪ | আপডেট: ১০:০১ অপরাহ্ণ,

তোফায়েল আহমদ:::

বাংলাদেশে এমন একটি সমস্যায় আমরা জর্জরিত যে সেক্টরে যাই সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের পরিচয় দিলে কোন মূল্যয়ন নেই, বলতে হয় আমি ঐ দলের ঐ পদে আছি নতুবা আমি সাংবাদিক নতুবা আমি মানবাধিকার সংগঠনের নেতা! মজার বিষয় হলো গতকাল নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে সাধারণ মানুষের পরিচয় দিলাম জেলা অফিসার আমার দিকে রাগান্বিত হয়ে বললেন আপনি কে? কি চান? আমি বললাম আমি একজন সাধারণ মানুষ আপনার কাছে একটি জরুরী কাজে আসছিলাম, উনি আমাকে উনার অফিসে ঢুকতে দিলেন না, আমি হতাশ হয়ে চলে আসলাম, যদি ও আমার ব্যক্তিগত কোন কাজ ছিল না। গোলাপগন্জ উপজেলার নির্বাচনী কার্যালয়ে একটি সমস্যা হওয়ায় সমাধানের লক্ষ্যে গিয়ে ছিলাম, নির্বাচন অফিসার কোন কথা যখন শুনলেন না, আমি ও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সবুর করে বসে আছি। আরো কিছুদিন আগের একটি ঘটনা – নির্বাচন কমিশন অফিসের দরজায় দাড়িয়ে আছি না হলে দুই ঘন্টার কম হবে না, সাধারন জনগনের পরিচয় দিলাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসারের সাথে দেখা করবো, বারবার অনুনয় বিনয় করলাম কাজ হলো না। পরে বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকলাম সিলেট আঞ্চলিক তথ্য অফিসার খুব রাগ করলেন! কে ঢুকতে দিলো উনাকে? আমি বললাম আপনার কাছে শিডিউল ছাড়া ও রাজনৈতিক পরিচয়ে কত লোক ঢুকলো আর বের হলো! আমি তো কোন রিকোয়েস্ট নিয়ে আসি নাই, আপনি চান আপনি যেভাবে ধরনা দিয়ে চাকুরী নিয়েছেন আমি ও সেইভাবে ধরনা দিয়ে আপনার দরজায় আসি? আমি একটি দলের পরিচয় দেওয়ার পর উনার মাথায় যেন বাজ পড়লো, পরে বললাম আমি কি মহানগরের সভাপতি / সাধারন সম্পাদককে দিয়ে আপনাকে রিকোয়েস্ট করাবো? তখন উনি আমাকে বসতে দিয়ে আমার সাথে দাড়িয়ে থাকা অনেককেই বের করে দিতে দরজায় দাড়িয়ে থাকা এটেন্ডেন্টের সাথে চিল্লাচিল্লি শুরু করলেন যদি ও আমার খুব খারাপ লাগছিলো! পরে আমার বক্তব্য মনদিয়ে শুনলেন শুনে আবেদনের উপরে কি যেন একটা লাইন লিখে রেফার করে দিয়ে আমাকে বললেন পরের বুধবারে আসার জন্য, উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য, আমি নিজেকে খুব ধীক্কার দিয়ে বললাম হায় রে আমি যদি বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে অন্য দেশের নাগরিক হতাম তাহলে এমন আচরণ ফেইস করা লাগতো না! আর এরজন্যই আমাদের দেশে করুনা এসেছিল বলে মনকে বুঝালাম। আরেকদিনের একটি ঘটনা হলো একটি থানায় অফিসার ইনচার্জের সাথে দেখা করতে গেলাম অন্যের একটি বিষয় নিয়ে যেহেতু আমি মানবাধিকার কর্মী ও দীর্ঘদিন থেকে সাংবাদিকতা করে আসছিলাম,তাই অনেকের ডাকে যেতে হয় তখন ওসি সাহেবকে বারবার আমি একজন সাধারণ পাবলিক পরিচয় দিলাম যেহেতু আমি কোন তদবীর করতে যাইনি সত্য ঘটনা নিয়ে গিয়েছিলাম, ওসি সাহেবের বারবার জেরার মুখে যখন আমি আমার সাংবাদিকতার আই ডি কার্ড দেখালাম তখন মনে আমি সেবা পাওয়ার যোগ্য। এমন যদি হয় আমাদের সমাজ ও দেশের অবস্থা তাইলে আমি অনুধাবন করলাম যে, আমাদের সাধারণ জনগনকে কি এই বিষয় গুলো মোকাবেলা করতে হয়? তাইলে কত সমস্যায় আছেন আমাদের দেশের সাধারণ জনগন? আজকে আমার মনের কষ্টে লিখতে বসে বাস্তব ঘটনাগুলো লিখলাম।

এসব অফিসারের পড়ালেখার মান কেমন? এরা ও কি কোটায় চাকুরী নিয়েছেন নাকি, মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতী? এদের শিক্ষার মান ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। বিবেকই যদি মানুষের সর্বোচ্চ আদালত হয় তাহলে এসব সরকারী কর্মকর্তার বিবেক কোথায় এসে দাড়িয়েছে??



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *