খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব-বিশেষ প্রতিনিধি:::
খুলনায় ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম ( রবি) হত্যার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বিশ্বাস কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা নগরীর রায়ের মহল এলাকায় অবস্থিত বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের কার্যালয় থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে আটকের বিষয়টি পুলিশের তরফে স্বীকার না করলেও আজ সকালে বিষয়টি সাগরদাঁড়ি নিউজ-২৪. কমকে নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আজগর বিশ্বাস কে গ্রেফতার করেছি তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আজগর বিশ্বাস আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিশ্বাস প্রার্পাটিজের নামের একটি আবাসন প্রকল্পের মালিক। গত জুন মাসে ষষ্ঠ ৪র্থ ধাপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।
গতকাল বিকালে আজগর বিশ্বাসের ছোট ভাই তারেক বিশ্বাস সাগরদাঁড়ী নিউজ -২৪. কম কে বলেন, দুপুরে বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের কার্যালয় থেকে তার বড় ভাইকে তুলে নিয়ে যায় জেলা ডিবি পুলিশ।
শনিবার রাত- পৌনে ১০ টার দিকে শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি কে গুলো করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সে সময় তিনি ডুমুরিয়া থেকে মটর সাইকেলে করে খুলনার বাসায় ফিরছিলেন। তার স্ত্রীর চাকরির সুবাদে তিনি খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা চলন্ত মোটসাইকেলের পেছন থেকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে শেখ রবিউল ইসলাম রবির স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে নির্বাচন কেন্দ্রিকদ্বন্দ থেকে শেখ রবিউল ইসলাম রবি কে খুন করা হতে পারে বলে এজাহারে লেখা হয়।
২০১১ সালে প্রথমবার ডুমুরিয়া শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেখ রবিউল ইসলাম রবি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শেখ রবিউল ইসলাম রবি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। প্রথমবারই ১৮ বছর ক্ষমতায় থাকা চেয়ারম্যান নূরদ্দিন আল মাসুদ কে পরাজিত করে জয়ী হন রবি।
শেখ রবিউল ইসলাম রবির বড় ভাই মনজিরুল ইসলাম সাগরদাঁড়ী নিউজ-২৪. কম কে বলেন ২০০৩ ও ২০০৪ সালে শরাফপুর ইউনিয়নেই চারজন কে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া গুম করা হয় আরেকজনকে। যারা খুন হন, তাঁরা সবাই উঠতি নেতা ছিলেন। এসব ঘটনার কারণেই শেখ রবিউল ইসলাম রবি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই শন্কা ছিল, যে কোনো সময় হয়ত তাঁকেও খুন করা হতে পারে। ২০১৪ সালের খুলনা নগরীর শেখ রবিউল ইসলাম রবির একনিষ্ঠ সমর্থক জাকির হোসেন। এতে শন্কা আরও বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে বারবার শেখ রবিউল ইসলাম রবি কে সতর্কও করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।