ঘোষিত সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি মুক্তিজোটের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণে যেসব সংস্কারের কথা বলেছেন সংস্কারগুলো উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ের (৩ মাস) মধ্যে করার তাগিদ দিয়ে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা করেছেন সংস্কার শেষ করে সরকার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিবে।
১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুলের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের ফলে শেখ হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিবাদি তথা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয়করণকৃত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস হওয়ার চিত্র সাধারণ মানুষ ও বিশ্বের সামনে ফুটে উঠেছে যা সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের পূর্বে রাষ্ট্রের এসকল প্রতিষ্ঠানসমুহের গ্রহণযোগ্য সংস্কার আনা প্রয়োজন। নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে জেঁকে বসা অনাস্থাকে ফিরিয়ে আনতে এ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। সংস্কারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতে মুক্তিজোট প্রস্তুত আছে বলেও জানান তাঁরা।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেন সাংবিধানিকভাবে যেহেতু এ দেশের মালিক জনগন তাই এমনভাবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে হবে যেন জনগণকে সরকারের ‘চালক ভূমিকায়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ “জনগণ কেবল সরকার গঠন করবে না, সরকার চালনাও করবে- সরকার প্রসঙ্গে ভোট শুধু একবার নয় বরং সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বারবার।” প্রযুক্তিগত উত্তরণ সাযুজ্যতায় যা সরলীকরণে বলা যায় …দুরে থেকেও যেভাবে মোবাইল ফোনের মধ্যদিয়ে আমরা সংসার চালাচ্ছি, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান/প্রতিষ্ঠন উদ্বোধন করছি; সেভাবেই জনগণ সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে মতামত দিয়ে সরকার চালাবে বলে দাবী করেন তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা কামনা করে সংগঠন প্রধান বলেন, যেহেতু এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। সংস্কারে জনগণ কী চায়, সে বিষয়টা থাকতে হবে। আশা করি, সরকার উপলব্ধি করবে এবং যাঁদের সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা রাজানৈতিক দলসহ সকল অংশীজনের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সুচারুরূপে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে।