চুরি করা সম্পদ পাচার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক কঠোর আইন দরকার: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস 

প্রকাশিত: 11:21 am, September 4, 2025 | আপডেট: 11:21 am,

চুরি করা সম্পদ পাচার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক কঠোর আইন দরকার:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস 
চুরি করা সম্পদ পাচার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক কঠোর আইন দরকার: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস 

স্টাফ রিপোর্টার:
চুরি করা শত শত কোটি ডলারের সম্পদ করস্বর্গ ও ধনী দেশে পাচার ঠেকাতে কঠোর আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর চেয়ার ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই জানি অর্থ কোথা থেকে আসছে। তবুও সেটিকে বৈধ অর্থ স্থানান্তর হিসেবে মেনে নেই, অথচ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।”

অধ্যাপক ইউনূস জানান, বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা দক্ষিণের দেশগুলো থেকে চুরি করা সম্পদ পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অর্থ নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে করস্বর্গ ও উন্নত দেশগুলোতে, যেখানে বিভিন্ন গোষ্ঠী এগুলোর বৈধতা দেয়। তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরশাসনের সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক নিয়ম-কানুনের সমালোচনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এগুলো মূলত লুট করা অর্থ অফশোর দ্বীপপুঞ্জ ও ধনী দেশে জমা রাখা সহজ করছে। একইসঙ্গে তিনি কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বৈতনীতির নিন্দা জানিয়ে বলেন, তারা জেনেশুনে অবৈধ অর্থ জমা রাখছে।

বৈঠকে টিআই চেয়ার ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়ান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করলেও বলেন, “চুরি করা সম্পদ উদ্ধারে আমাদের আরো কঠোর আন্তর্জাতিক নিয়ম ও কার্যকর প্রয়োগ দরকার।”

প্রধান উপদেষ্টা টিআইকে তাদের কণ্ঠ আরো জোরালো করার আহ্বান জানান এবং বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করে চুরি করা অর্থ পাচার বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব করেন।

টিআই বাংলাদেশের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বৈঠকে জানান, টিআইয়ের বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য শাখার যৌথ প্রচেষ্টায় সম্প্রতি শেখ হাসিনার সহযোগীদের অর্জিত সম্পদ জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।

বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *