জনগনের স্বাভাবিক চলাফেরা নিশ্চিত করেছি : বাপ্পী 

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৩ | আপডেট: ৩:১৫ অপরাহ্ণ,

হীমেল কুমার মিত্র, স্টাফ রিপোর্টার: ১৯৯৫ সালের রাজারহাট উপজেলার মুকুটহীন সম্রাট মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী কুড়িগ্রাম জেলা বিশেষ করে রাজারহাট উপজেলার অগণিত অনুরাগীর আইডল ছিলেন।

 

১৯৩৭ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যন্ত সাফল্যের সাথে শিক্ষা জীবন শেষ করে মাটি ও মানুষের টানে ফিরে আসেন গ্রামে। আলো ঝলমলে ও নিশ্চিত বিলাসবহুল জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে গ্রামের সাধারণ জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মানব সেবার জন্য তিনি বেছে নেন শিক্ষকতার মত একটি মহান পেশা, শিক্ষকতা জীবনকেই গ্রহণ করেন জীবনের আদর্শ হিসেবে। এই মহান ব্যক্তি ১৯৬৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর শিক্ষা আর আদর্শে আলোকিত হয়েছেন রাজারহাটের হাজার হাজার শিশু, ছাত্র, মানুষ।

 

তিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে আওয়ামী রাজনীতির আদর্শ ধারণ ও লালন করেন। রাজনীতির অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মহান পুরুষ ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দেশের সংকটকালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

রাজারহাটের এই ক্ষণজন্মা গুণী মানুষটি একাধারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, গণপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

তাঁর সুযোগ‍্য পুত্র রাজারহাট উপজেলা পরিষদের বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি।

যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বলছি রাজারহাটের সোহরাওয়ার্দী পরিবারের কথা। এই পরিবারটি কে থামানোর জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে অনেক আগ থেকে। তবুও জনগনের ভালবাসা ও সমর্থন নিয়ে রাজারহাটের বুকে মাথা উঁচু করে বেচে আছে। জনগনের ভালবাসার প্রতিদান দিতে শতভাগ জনগনের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও জনগনের স্বাভাবিক চলাফেরা নিশ্চিত করেছেন জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী।

 

জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী রাজারহাট উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার আগেও কিছু নামধারী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজারহাটে চলেছিলো সন্ত্রাসের রাজত্ব। রাজারহাট ছিলো এক আতংকের নাম। এই সিন্ডিকেট সমগ্র উপজেলায় প্রভাব বিস্তার করে সাধারন মানুষের উপর বিভিন্ন বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করে হস্তক্ষেপ করতো পারিবারিক বিষয় সহ রাজনৈতিক বিষয়। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করতো দাপুটের সাথে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পেত না। জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো। রাজারহাটে কেউ ব্যাংকের সেবা নিতে গেলে সুদারু বাহিনীর সিন্ডিকেটের জাতা কলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যেত, রেজিস্ট্রারী অফিস ছিলো আতংকের আতুর ঘর, ক্রেতা বিক্রেতা উভয় কে দিতে হতো মোটা চাদা। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষ। গ্রাম গঞ্জের ছোট খাটো পারিবারিক ঝগড়া কে পুজি করে তাদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিতে হাজার হাজার টাকা। কলেজে দুরবর্তী ছাত্রদের গায়ে পড়ে ঝগড়া করে ছিনিয়ে নেওয়া হতো তাদের মোবাইল অথবা সাইকেল। ভয়ংকর নগরীর আরেক নাম ছিলো রাজারহাট। কলেজের একজন ছেলে বন্ধু ও একজন মেয়ে বন্ধু এক সঙ্গে হাটতে পারতো না, কথা বলতে পারতো না, কথা বললেই এক সাথে চললেই তাদের প্রেমিক প্রেমিকার ট্যাগ লাগিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা।

 

সব চাইতে বড় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে আতংকের নগরী রাজারহাটে নিজের ভাইবোন রাজারহাট বাজারে বিশেষ প্রয়োজন আসলেও তাদেরও প্রেমিক প্রেমিকার ট্যাগ লাগিয়ে অর্থ আদায় করে তবেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ ভালো ছিলো না রাজারহাটে। জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী

রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রাজারহাটের আমূল পট পরিবর্তন হয়ে যায়। ব্যাংকের ঋণ নিতে সুদারুদের দৌরাত্ম্য নেই, আর নাহ তিনি কারও জন্যে সুপারিশ করেন। রেজিস্ট্রারী অফিসে আজ কোন চাদাবাজি নাই, সাধারণ মানুষ পরম শান্তিতে তাদের কাজ করছেন। কলেজে আর মাস্তানি নাই, কলেজে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এখন আর কোন ছেলেমেয়ে হয়রানি হয়না, এমনকি কোন ভাইবোন কে প্রেমিক প্রেমিকার ট্যাগ লাগানো হয় না, গ্রাম গঞ্জের কোন ঝামেলা মিট মাট করার জন্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী কে কমিশন দিতে হয়না। সাধারণ মানুষ কে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে নেন না। উপজেলার কোথাও জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন এমন নজির নেই। প্রতিপক্ষের রাজনীতি করে তার বিরোধিতা কারীদের উপর কখনেই প্রতিহিংসা পরায়ন হননি। সাধারণ মানুষ কে বুকে টেনে নিতে তার কখনো বিবেকে বাধে না। হয়তো বা তিনি রাজারহাট বাসীর প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ করতে পারছেন না একথা অকপটে তিনিও স্বীকার করেন। তবে কেন তার এই ব্যর্থতা সেটা সাধারণ মানুষের উপর বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।

 

জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি জানান, যারা রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছেন তারাই ও তাদের কিছু দোসর বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আমাকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা কঠিন করে দিচ্ছেন। তবে তারা ষড়যন্ত্রে করে রাজারহাটবাসীর ভালবাসা থেকে আমাকে আলাদা করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের সাথে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কোন ষড়যন্ত্রই আলাদা করতে পারবে না।

 

রংপুরের বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে রাজারহাটে এসেছি বাবার মত সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্য, তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। তাই আমি আশা করি সুখে দুঃখে রাজারহাটবাসী আমার পাশে থাকবে। ছোট খাটো মন মালিন্য ভুল বুঝাবুঝি থাকবে তাই বলেতো আর ভালবাসার সম্পর্ক থাকবে না তা না।রাজারহাট বাসীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *