জুরাইনের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ | আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ,

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুরাইনের ফুটপাত ও সড়কের দোকান গুলোতে শত শত অবৈধ বিদ্যুৎ বাতি জ্বলে। একটি বাতি থেকে দিনে গড়ে ২৫ টাকা আদায় করা হয়। সে হিসাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এখানকার প্রভাবশালী একটি চক্র। এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ। অন্যদিকে সরাসরি অবৈধ বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। আর পকেটভারী হচ্ছে ওই চক্রের সদস্যদের।

যদিও সরকারীভাবে সারাদেশে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে পুরো দেশের ন্যায় রাজধানীর জুরাইনে ও দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখাসহ একাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় পরে বন্ধ হলেও বৈদ্যুতিক লাইন থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অবাধে দোকান চালায় সড়কের দুই ধারের হকাররা। বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল নির্দেশনা পালনে এ অঞ্চলের ডিপিডিসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসব।

সরেজমিনে জূরাইনের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রমপুর প্লাজার সামনের সড়কের তিন চার সারিতে ফুটপাতে কয়েক শতাধিক দোকান। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোর আলোতে ঝলমলে থাকে পুরো এলাকা। তবে এখানের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সংযোগই অবৈধ। একই পরিস্থিতি জুরাইনের প্রধান প্রধান সড়কের চারপাশে। সড়কগুলো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের আখড়া।

সেতু মার্কেটের সামনে ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এক বাতির জন্য দোকানিদের দিতে হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু এই বিল বিদ্যুৎ বিভাগে নয়, দোকানিদের বিলের টাকা হাতিয়ে নেয় এ অঞ্চলের প্রভাবশালী মহল।

এক দোকানি বলেন, এক বাতির জন্য প্রতিদিন ২০ টাকা দেই একজনরে। আলম মার্কেটের সামনে অন্য এক দোকানি বলেন, আমরা লাইন চালাই, বিদ্যুৎ বিল ২৫ টাকা নিয়ে যায়। বিল দেয় কিনা জানি না।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *