জুরাইনে তীব্র গ্যাস সংকট, জন ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র গ্যাস সংকটের কোন সূরাহা হয়নি এখনো। ভোগান্তি পোহাচ্ছে জুরাইনবাসী। গত চার-পাচ মাস যাবৎ গ্যাস নেই বলে অভিযোগ করেছে এলাকার বাসিন্দারা। আগে কুপির মতো জ্বললেও এখন একেবারে পাচ্ছেন না তারা। এই নিয়ে তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিলেও ভোগান্তি থেকে উত্তরণ মিলছে না মহল্লাবাসীর। পূর্ব জুরাইনের ঋষিপাড়া, কুসুমবাগ, বাগানবাড়ি, কমিশনার রোড, নবীনবাগ, মেডিকেল রোড, পোকার বাজার, জিরো পয়েন্ট, সরকার বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। এ এলাকার মানুষ ঠিক সময় রান্না করতে পারছে না ।
বাগানবাড়ি এলাকাবাসী বলেন, আগে তো দুপুরের পর গ্যাস পাওয়া যেত কিন্তু এখন সারাদিন অপেক্ষা করেও গ্যাসের দেখা মিলছে না। সারাদিন গ্যাস না থাকলেও বিকেল পাঁচটার পর ঠিক গ্যাস আসতো আর এখন একমাস যাবৎ রাত বারোটার আগে গ্যাসের কোন খোঁজ থাকে না। গ্যাস না থাকলে কি হবে-প্রতি মাসে আমাদের গ্যাস বিল ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে।
মুরাদপুর মাদ্রাসা রোডের জিরো পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সময় মত গ্যাস না থাকায় সকালের নাস্তা আমাদেরকে দশটায় খেতে হচ্ছে আর দুপুরের খাবারের কথা তো না বলাই চলে। মসজিদে আসরের আযান দেয় আর আমরা লাকুরের চুলায় রান্না করে দুপুরের খাবার খাই। কবে যে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ কথা বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়েন তিনি।
জুরাইন রিশিপাড়ার বাসিন্দা রনজিত এই প্রতিবেদক কে জানান সকালে বাড়ি থেকে না খেয়ে কাজে যাই। দুপুরের খাবারও বাড়িতে খেতে পারি না কিন্তু মাস শেষে আমাদের ঠিকই গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হয়। বিল না দিলে আবার লাইন কেটে দেয়। এভাবেই চলতে থাকলে একদিন রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
মিষ্টির দোকানের এলাকার গৃহিণী নাজমা বেগম জানান, রাত বারোটার পর চুলায় গ্যাস আসে আবার ফজরের আজানের আগেই চলে যায়। রাত জেগে রান্না করা তো সম্ভব নয়। এতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ি। দিনের বেলা মাটির চুলা দিয়ে রান্না করে কোনরকম দিন চালাই। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সকালের নাস্তা না খাইয়ে স্কুলে পাঠাই।