জুরাইনে রাইদা পরিবহনের নৌরাজ্য, রুখবে কে?
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুরাইন থেকে ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করে রাইদা পরিবহনের বাস। কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনের অতিরিক্ত বাস যেমন চলছে তেমনি নেই তাদের কাউন্টারের অস্তিত্ব। বরং শহরের একাধিক স্থানে রয়েছে রাইদা পরিবহনের অবৈধ স্টান্ড। বিশেষ করে জুরাইন রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে এই বাসের আস্ফালন চলছে। সড়কের উপর বানিয়েছে অবৈধ স্টান্ড।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চলন্ত বাসে যাত্রী উঠা নামা করানো হচ্ছে। চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানোর তাড়াহুড়োয় প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই এই রুটের মানুষ বাসে ওঠানামা করে।
ওদিকে যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন কারণে একাধিকবার এই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আশানুরূপ কাজ হয়নি বলে জানান জুরাইনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস। পবিত্র বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনই রাইদা পরিবহনের একাধিক বাসের বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা, রেকার বিল ও ডাম্পিং করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের নিকটবর্তী জুরাইন মোড়ে ৭টি রাইদা পরিবহনের বাস সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। প্রতি ৪ থেকে ৫ মিনিট পর পর দুই একটি করে নতুন বাস এসে দাড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে। সড়কের একদিকের দুই লেনের মধ্যে এক লেন অবৈধ স্টান্ডের দখলে পড়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত যানবাহন একলেনে থাকায় হচ্ছে বাড়তি যানযট। জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিপরীতে প্রতিদিনের এই যানযট চিত্র তৈরী হলেও এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নেই। বরং জুরাইন মোড় থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত চলন্ত গাড়িতেই উঠায় যাত্রী। যাত্রী উঠানোর ধস্তাধস্তিতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সারাদিনই একটি গাড়ি আরেক গাড়ী সাথে রেষারেষি লেগেই থাকে। সজোরে হরেনের শব্দের যাজ্বালো আওয়াজে অতিষ্ঠ এখানকার দোকানদাররা।
জানা যায়, গত কিছুদিন আগে জুরাইন টাওয়ারে সামনে রাইদা পরিবহনের দুটি বাসের যাত্রী উঠানো নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময়ে দু’টি বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে ফারুক নামে একজন রিকশাচালক মারাত্মক আহত হয়।
বিআরটিএ ঢাকা বিভাগের সূত্রমতে, বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনকৃত রাইদা পরিবহনের বাস রয়েছে ৯৩টি। কিন্তু এই রুটে রাইদা পরিবহনের বাস চলছে প্রায় দেড় শতাধিক। রাইদা পরিবহনের বাসের রুট পারমিট অনুযায়ী বাসটি পোস্তগোলা বীজের নীচ থেকে জুরাইন রেলগেট সড়ক হয়ে প্রবেশ করবে ধোলাইপাড় রোডে। কিন্তু নিয়ম না মেনে বীজের নীচ না থামিয়ে গাড়িগুলো পোস্তগোলার ব্রীজের ঢালে অথবা জুরাইন মোড়ে বাসের একটি স্টান্ডে বানিয়ে সেখান থেকে যাত্রী উঠানো হয়।