ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়া সিএনজি থেকে মালামাল ফেরত পেলেন যাত্রী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের (টিআই) সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়া সিএনজি থেকে মালামাল পেলেন যাত্রী আলিফ আহমেদ। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার সময় যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের টিআই আনন্দ চন্দ্র রায় গোলাপবাগ থেকে সিএনজিসহ চালক আব্দুল হককে আটক করে বেগে থাকা ল্যাপটপ,কম্পিউটার,মুল্যবান বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। পরে যাত্রাবাড়ী থানার লিমা- ৪৩ এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের নিকট বুঝিয়ে দেন।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি থেকে সিএনজি (ঢাকা-মেট্রো-থ ১৬-১৩২৫) ভাড়া নিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে রওয়ানা দেন আলিপ আহমেদ। গোলাপবাগ মোরে আসার পর তাকে জোড় করে নামিয়ে দেন সিএনজি চালক আব্দুল হক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চালক তার সিএনজি থেকে লাঠি বের করে আলিফকে মারধর করে সিএনজিতে আলিফের বেগে থাকা ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেতে দ্রæত সিএনজি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় ভিকটিম আলিফের ডাক চিৎকারে গোলাপবাগ মোরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনন্দ রায় ও সঙ্গীয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এবং পথচারীরা সিএনজি ও চালকে আটক করে। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার লিমা ৪৩ এর এ এসআই জাহাঙ্গীর আলমের নিকট সিএনজি ও চালককে বুঝিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম আলিফ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করতে যান। এএসআই জাহাঙ্গীর সিএনজি চালক ও মালিকের সাথে রফদফ করে বাদীকে মামলা করতে বারণ করেন। পরে এএসআই জাঙ্গীরের নেতৃত্বে থানার ৩য় তলায় দেনদরবার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে এএসআই জাহাঙ্গীর মুঠোফোনে বলেন, বাদী-বিবাদীকে নিয়ে থানায় বসেছি। এসময় সিএনজি চালকের নাম ও সিএনজির নম্বর জানতে চাইলে পরে নেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করলে উত্তেজিত হয়ে বলেন, সিএনজির নম্বর দিয়ে কি করবেন, নম্বর ধুয়ে কি পানি খাবেন ?