পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে উল্টে যাওয়া একটি পেট্রোল ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহের সময় বিস্ফোরণে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে জিগাওয়া রাজ্যের মাজিয়া শহরে ট্যাংকার চালক হাইওয়েতে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় পুলিশ মুখপাত্র লাওয়ান আদাম জানিয়েছেন। খবর এপি। জিগাওয়া স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ড. হারুনা মাইরিগা এপিকে বলেন, ঘটনাস্থলেই ৯৭ জন ‘ভস্মীভূত’ হয়ে মারা যান এবং আটজন মারা যান হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত চালকটি পাশের কানো রাজ্য থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) ভ্রমণ করেছিলেন। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এরপর ঘটে বিশাল অগ্নিকাণ্ড। বুধবার সকালে মাজিয়া শহরের বাসিন্দারা শোক পালন করেছেন। স্থানীয়রা ভুক্তভোগীদের জন্য একটি গণকবরের তৈরি করেন। বেশিরভাগ দেহই চিনতে পারা যায়নি বলে জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে। জরুরি পরিষেবার প্রধান মাইরিগা বলেন, হতাহতরা যদি বিপদের কথা জানত তবে জ্বালানি আনতে যেত না। তিনি বলেন, জরুরি পরিষেবা দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় প্রাণঘাতী ট্যাংকার দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ বিষয়। দেশটির অনেক জায়গায় ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় না এবং কার্গো পরিবহনের জন্য একটি কার্যকর রেলওয়ে ব্যবস্থারও অভাব রয়েছে। এ ধরনের দুর্ঘটনার পর মানুষ সাধারণত কাপ বা বালতি দিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যায়। নাইজেরিয়ার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্যের মধ্যে এই চর্চা আরো বেড়েছে। গত বছরের শুরু থেকে দেশটিতে জ্বালানি মূল্য তিনগুণ বেড়েছে। কারণ, ব্যয়বহুল গ্যাস ভর্তুকি বাতিল করেছে দেশটির সরকার।