পটুয়াখালীতে কনকনে শীতে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন), পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে কনকনে তীব্র শীতে জমে উঠেছে শীত কালীন পিঠা বিক্রি। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের মাঝে ভাসমান ভ্যান গাড়িতে করে এই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা।
শীতের শুরু থেকে এই ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হলেও শীতের প্রকোপ দুদিন ধরে কিছুটা বেশি হওয়ার কারণে এই চাহিদা দিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,পটুয়াখালী জেলার কলাতলা,এলাকায় বিগত বছরের দিনগুলোর চেয়ে এই বছর শীতের পিঠা বেঁচা-বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোড,নতুন বাজার, চৌরাস্তা, কলাতলা, সবুজবাগ,আদালত মাঠ,ঝাউতলা, লঞঘাট ও তার আশেপাশে এলাকায় অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায় দ্বগুন।
বাঙ্গালিয়ানা ঐতিহ্যের সাথে নবান্ন ও শীতকাল ওতপ্রোতভাবে জড়িত এ পিঠা উৎসব। যদিও বর্তমানে শীতকালে সে পিঠা ও পায়েসের আমেজ দিন বা-দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল কল্পনা করা অসম্ভব। বাড়িতে শীতকালে পিঠা তৈরির ধুম কমলেও ব্যবসায়িক ভাবে বেড়েছে এর উৎপাদন ও সফলতা। তবে মৌসুমী বিক্রেতার পাশাপাশি নারীরাও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
পিঠা ব্যবসায়ী হানিফ ও তার সহযোগী সবুর প্রতি পিছ ভাপা পিঠা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান। দিনে ৩০০-৪০০ টি পিঠা বিক্রি করে তাদের দৈনিক মুনাফা থাকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।এছাড়া কলাতলা বাজারের সামনে নারী পিঠা বিক্রেতা হাফসা বেগম বলেন, কাচিখোচা পিঠা,বরাপিঠা,চডা, পাটিসাপটা পিঠা প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিক্রি করি বর্তমান দুদিন ধরে ক্রেতার চাহিদা বেড়েছে আগের থেকে দ্বিগুন।
কলাতলা পিঠা বিক্রেতা হাফসা বেগম তার ব্যবসার অভিজ্ঞতার আলোকে জানান, পূর্বে লাভ বেশি হতো কিন্তু বর্তমানে বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আগের মতো আর লাভের দেখা মিলছে না। তবুও শীতকালীন এই ব্যবসা প্রতি বছরের ন্যায় চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বাড়ালেও পিঠার মান ও আকার কোনটাই বাড়েনি। কিন্তু বাড়িতে পিঠা তৈরির বাড়তি ঝামেলা এড়াতে তারা বাধ্য হয়েই পিঠা ক্রয় করছেন বাহিরের দোকান থেকে।
দাম ও মানের আলাপ-আলোচনা থাকলেও শীতকালে খেজুরের গুড়ের ভাপা ও অন্যান্য পিঠা আবহমান কাল ধরেই বাঙ্গালির শুধু রুচিই নয় বরং তা ঐতিহ্য।