পলকের দূর্নীতির সহযোগী মাহবুব এখনো বহাল তবিয়তে, সাংবাদিককে হুমকী
মোঃ রাসেল কবিরঃ
ছাত্র জনতার প্রবল বিক্ষোভে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও স্বৈরাচারীর দোসর দূর্নীতিবাজ পলকের একান্ত সহযোগী প্রকল্প পরিচালক মাহবুব এখনো আছেন বহাল তবিয়তে। তার খুটির জোর কোথায় জানতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মহাদূর্নীতিবাজ প্রতিমন্ত্রী পলককে তোষামদি ও তেলবাজী করে হাতিয়ে নেন প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার প্রকল্পের দায়িত্ব। দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গুম, খুনের অপরাধে পলক গ্রেফতার হলেও তার সহযোগী মাহবুব দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি টাওয়ার। তার মুখোশ উম্মেচন করে দিয়ে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি দৈনিক সকালের সময়ের বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিকে ধামকী দিয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। বলেন, পত্রিকায় লেখালেখি করে আমার কিছুই করতে পারবে না, আমি আমার উপর মহলের সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি, বুঝেন না আমার ক্ষমতা কত? স্যার (পলক) নাই তাতে কি হয়েছে? আমার হাত বহুত উপরে। আপনি সাংবাদিককে বলে দিবেন, এই দিন বেশি দিন থাকবে না, স্যার (পলক) আবার ফিরে আসবে। তখন দেখে নিবো কে আমার বিরোদ্ধে কি লিখে?
গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাভাষা সমৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের দায়িত্বটি পলকের সহযোগী হিসেবে সুকৌশলে বাগিয়ে নেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার মাহবুব করিম। তার পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার বিশাল প্রকল্পের কাজ হাতে পেয়ে যেন তিনি আলাদিনের প্রদীপ হাতে পেয়ে গেলেন। যোগশাযোশ শুরু করলেন প্রকল্পের ঠিকাদারদের সাথে। সুকৌশলে কাজ দিলেন দরপত্রে সব্বোর্চ্চ দর দেয়া সালমান এফ রহমানের কোম্পানী বেক্সিমকো ও স্বৈরাচারী সরকারের দলীয় নেতাদের কোম্পানীকে। সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হলেও পলকের দলীয় আদর্শকে বুকে ধারন করে চালিয়ে গেলেন দূর্নীতির মহোউৎসব। তার স্যারের (পলকের) পকেট ভর্তি ও নিজের আখের গোছাতে উঠে পরে লেগে গেলেন। প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হয়ে গেল কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হলো না। তার মতে, উপর মহলকে ম্যানেজ করে আবার সময় বৃদ্ধি করে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কানাঘোষা আছে, মাহবুব করিম প্রকল্প পরিচালক হওয়ার পর থেকে দেশের বাড়ী রাজশাহী ও ঢাকায় নামে বেনামে একাধিক জমি ও ফ্লাট কিনেছেন। যেনো তিনি রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার এই জমি বাড়ি ও ফ্লাট কেনার এত বিপুল পরিমান টাকা কোথায় পেলেন? কিভাবে তিনি গত ২-৩ বছরের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেলেন তা দুদকের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসবে।দূর্নীতিবাজ পলকের সহযোগী মাহবুবকে অতি শিঘ্রই প্রকল্প পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা জোড় দাবী জানাচ্ছে এবং তার অবৈধ সম্পদের অধিকতর তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানাচ্ছে।