বাবলা নয় ড.আওলাদ কে এমপি হিসেবে পেতে চায় ঢাকা-৪ এর জনগণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকে মাঠে সক্রিয় হয়ে আছেন। তবে অন্য দলের প্রার্থীরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই। তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ঢাকা-৪ আসন জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। আর এতে করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।
কেননা ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি না থাকায় এখানকার নেতা কর্মীরা তাদের দুঃখের কথা শেয়ার করতে পারে না বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের। তাই তারা বিভিন্ন সভায় বলে থাকেন ঢাকা-৪ আসনের নেতা কর্মীরা অবহেলিত হয়ে আছে।
তাই তারা আগামী নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থীকে এমপি নির্বাচিত করার জন্য উঠে পরে লেগেছেন। তার জন্য জোরালো ভাবে দাবীও জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের এই দাবী কতটুকু প্রতিফলিত হবে তা নির্বাচনে বুঝা যাবে।
এদিকে জানা যায়, ঢাকা-৪ আসনে ২০১৪ সনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ২০১৮ সনের একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির ঐক্যজোটের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ কে পরাজীত করে আওয়ামী লীগের মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীকে জয়ী হন।
বর্তমানে তিনি এখানকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আছেন। এবারও তিনি মাঠে রয়েছেন। তবে গত নির্বাচনে বাবলার পক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও মাঠে নেমে কাজ করেন। একই সাথে তার পক্ষে ভোট চেয়েছেন কর্মীরা। বাবলা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নি বলে মনে করেন এ অঞ্চলের জনগণ।
কেননা তিনি গত দশ বছরে এ অঞ্চলে নতুন কোনো কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল- ক্লিনিক, খেলার মাঠ সহ দৃশ্য মান কোন উন্নয়ন করেনি। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান হয়ে এলাকায় উন্নয়ন চেয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সংগঠনিক কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন। এছাড়া এবারের নির্বাচনে আগে মতো জাতীয় পার্টির সাথে ক্ষমতাসীন দলের শরীক নেই। আর এতে করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও তার পক্ষে কাজ করবে না।
তাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বাবলা আগামী নির্বাচনে অনেকটা বেকায়দায় পরতে পারে বলে মনে করে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।
অপরদিকে দলীয় সূত্রমতে জানাযায়, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। জোর দাবীর সুযোগে এখানে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত ব্যক্তিগত সচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোঃ আওলাদ হোসেনকে চেয়ে দাবী তুলেছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠে নেমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খোঁজ নিয়ে ও দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সেই হিসেবে ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কোন এমপি পায়নি নেতাকর্মীরা।
আর এনিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। এ আসন থেকে লাঙল ফেলে নৌকা ভাসাতে চান ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা। এর মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত ব্যক্তিগত সচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোঃ আওলাদ হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছে তার সমর্থকেরা। স্থানীয়দের দাবি, লাঙলের যাতা আর সহ্য হচ্ছে না।
দলের সভানেত্রী কাছে দাবি ড. আওলাদ কে এই আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তবে তার সাথে আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তারা দলের সভানেত্রীর কাছে নৌকা চাইবেন।
রনি নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, ১০টি বছর যাবৎ ঢাকা-৪ আসনের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঙলের যাতায় পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা আর সহ্য করতে পারছে না। দলের সভানেত্রী কাছে অনুরোধ করি, এবার আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেন। যাকে নৌকা দেয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।
মহাজোটের অধীনে চলতি বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ না হলে ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টি পাশাপাশি আওয়ামীলীগের প্রার্থী দিতে যাচ্ছে। সেখানে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে পারে নির্বাচন। বিএনপি প্রার্থী কে হচ্ছেন এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তাদের সিনিয়র নেতারা।