স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাপ্পী’র অর্থায়নে বিলের মাঝে অস্থায়ী ভাসমান স্মৃতিসৌধ
হীমেল কুমার মিত্র: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিলের মাঝে লাল সবুজের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে ব্যতিক্রমী অস্থায়ী ভাসমান স্মৃতিসৌধ।
(২৬ মার্চ) রবিরাত থেকে উপজেলার চাকির পশার বিলের মাঝে এ ব্যতিক্রমী স্মৃতিসৌধটি দেখা যায়।
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, রংপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, বতর্মানে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির উদ্যোগে বর্ণিল আলোকসজ্জায় চাকির পশার বিলে স্মৃতিসৌধের আদলে ভাসমান স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়।
সন্ধ্যার পর থেকে ব্যতিক্রমী এই স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাকির পশার বিলের পারে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি’র নিজ অর্থায়নে ভাসমান এই স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে। মূলত নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে স্মৃতিসৌধটি লাল সবুজ রঙের আদলে তৈরি করা হয়। দেখলে যে কারো মন কাড়বে। রাতে নদীর মাঝে স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শত শত মানুষ ভিড় করে। স্মৃতি সৌধটিতে লোহার অ্যাঙ্গেল, রড, পাতি, কাপড় ও বিভিন্ন রঙের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি লম্বায় প্রায় ২১ ফিট।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্মৃতিসৌধটি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বিলের মাঝেই রাখা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপু নামের এক ব্যক্তি স্মৃতিসৌধটি দেখতে এস বলেন, বিলের মাঝে স্মৃতিসৌধটি লাল সবুজের রঙের রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেখতে অসাধারণ। ফেসবুকে স্মৃতিসৌধটির ছবি দেখার পর সরাসরি দেখতে চলে এসেছি।
এ বিষয়ে স্মৃতিসৌধ তৈরির উদ্যোক্তা ও রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, ২৬ এ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাকির পশার বিলের মাঝে অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে এবং স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা জানাতে মূলত স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ দিন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এ কাজটি আমরা সম্পন্ন করেছি। নিজের ছবি পানির মাঝে দেখতে কিন্তু ভালো লাগে। ঠিক তার চেয়েও সুন্দর লাগছে স্মৃতিসৌধটি পানিতে দেখতে। এর সৌন্দর্য রাতে উপভোগ করার মত। দিনে এটি তেমন ভালো নাও লাগতে পারে। মূলত এটা রাতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের বলবো তারা যেন এই স্মৃতিসৌধের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে আসেন।
নাগেশ্বরী থেকে মোঃ আজগর আলী বলেন,
ফেসবুকে স্মৃতিসৌধটির ছবি দেখার পর সরাসরি দেখতে চলে এসেছি।
যা দেখতে অসাধারণ লাগছে। ধন্যবাদ জানাই রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বাপ্পীকে এমন একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য।