মুক্তিজোটের স্লোগান কেন-‘ডান বাম নয়- হাঁটতে হবে বাংলাদেশ বরাবর’ ?

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ,

 

আবু লায়েস মুন্না
সংগঠন প্রধান
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট:::

 

একবিংশ শতাব্দীর শাব্দিক পদচারণা সর্বত্র, নতুন নতুন রোলে কোরাসের ধ্বনি উঠছে দিকে দিকে, কিন্তু এখনো বিশ্ব সভ্যতার কন্ঠদেশ জুড়ে লাণতের চিহ্ন, যন্ত্রপিষ্ঠ মনুষ্যত্বের আদর্শবর্জিত সমকালিন দুনিয়ার গাঢ় অন্ধকারে এখনো চলছে লুটেরাদের উম্মত্ত প্রেতনৃত্য, এখনো সেই দুঃসময়, আরো অন্ধকার নিয়ে শুধু সময়কে ভাগ করার হিসেবী আছরে ইবলিসীয় খেরো খাতায় এসেছে “নতুন”। আর সে নতুনত্বের জঠরে বন্দী তৃতীয় দুনিয়ায় আমরা ক্রমশঃ বেহাল-যুযুধান। দেশী সংস্কৃতি হয়ে উঠে পানসে ‘ব্যাকডেটেড’। অতিশয় আত্মবিকৃত শিকড়বিচ্ছিন্ন আমরা, হয়ে উঠেছি বিভ্রান্ত – বিশৃংখল, নতুনের জঘন্যতায় নতুন শতাব্দীর নতুন প্রজন্ম। কিংবা দেশের মাটিতেই বিদেশ অনুকরনের চেতনায় কখনো এখানে উচ্চারিত হয়েছে তথাকথিত প্রগতির কন্ঠে “বাংলা হবে ভিয়েতনাম” এখন উচ্চারিত হচ্ছে তালেবানী মধ্যযুগীয় ভাষায় “বাংলা হবে আফগান”। শুধু স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও জনজোয়ার ফুঁসে উঠে দাবি করেনি “বাংলা হবে বাংলার”। একবিংশে আজ কোথায় সেই দেশজ চেতনার অভাব মোচনে বৌদ্ধিক উৎকর্ষ অর্জনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগময় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও তার সমাজকে ঘিরে সু-সভ্যত নাগরিক চেতনা? কিংবা দেশজ চেতনাসম্পন্ন সচেতন দৃঢ়তায় সামাজিক শক্তির উপস্থিতি?

অথচ এই দেশ ও তার মানুষ আপন ভাষার দাবিতেই স্বাধীন হয়েছে, গণতন্ত্রের দাবিতে নিজেকেই পোস্টার করেছে, আঁধবোজা চোখে চেয়ে থাকা- বুলেট বিদ্ধ লাশ, মুখ আর বুক একাকার করেই স্বাধীন এ দেশটি অবশেষে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সহযাত্রী হয়েছিল। মত প্রকাশে মুখের ভাষা আর বোধ প্রকাশে নিজেকেই পোস্টার করা- বোধ আর মত প্রকাশের বৈশ্বিক ইতিহাসে অনবদ্য আমাদের এই দেশ- বাংলাদেশ!

উপরোক্ত প্রেক্ষাপট আলোচনায় মুক্তিজোট সিদ্ধান্ত নেয় “বাংলা হবে ভিয়েতনাম বা “বাংলা হবে আফগান” নয় মুক্তিজোটের স্লোগান হবে “ডান-বাম নয় হাঁটতে হবে বাংলাদেশ বরাবর।”



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *