জায়গা জমির ভাগ বন্টনের মোবাইল এ‍্যাপস বানাচ্ছেন শাহাজাহান আলী পিএএ

প্রকাশিত: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৩ | আপডেট: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ,

মোঃ রাসেল কবির : বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষে সরকার একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জমি জমা সংক্রান্ত সকল জটিলতা নিরষনে ব‍্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বতর্মান সরকার। আর সরকারের এই যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে মোঃ শাহাজাহান আলীর মত সরকারের অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে জমি জমার ভাগ বন্টন ব‍্যবস্থা, কাগজপত্র চিনানো, মাপঝোপ বুঝানোর জন‍্য একের পর এক মোবাইল এ‍্যাপস উদ্ভাবন করে যাচ্ছেন সৃষ্টিশীল মানুষ সাব রেজিস্ট্রার মোঃ শাহাজাহান আলী পিএএ। আর যে কেউ এই মোবাইল এ‍্যাপসগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সষ্টল করে নেট সংযোগ ছাড়াও ব‍্যবহার করতে পারবে। শাহাজাহান আলী উদ্ভাবীত এ‍্যাপস গুলোর মধ‍্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আনা গন্ডা কড়া ক্রান্তি, ল‍্যান্ড রেজিষ্ট্রিশন বিডি, দলিল ফিস ক‍্যালকোলেটর, জমি পরিমাপ ক‍্যালকোলেটর। এর মধ‍্যে আনা গন্ডা এ‍্যাপসে সহজে যে হিসাবটা করতে পারবেন তা হলো: বাংলাদেশ আমলের পূর্বের সময়ের প্রস্তুতকৃত খতিয়ানসমূহ যথা- সি,এস ও এস,এ খতিয়ানে একাধিক ভূমি মালিকের নাম থাকলে খতিয়ানে মোট জমিতে কোন মালিকের কতটুকু হিস্যা বা অংশ আছে তা আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হতো। এই এ‍্যাপসে একাধিক ভূমি মলিকের মধ‍্যে আপনার অংশ নিখুত ভাবে বের করতে পারবেন। বাংলাদেশ সময়ে আনা, গন্ডা, ক্রান্তি ও তিল এর পরিবর্তে অংশ বুঝতে সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন ১০০, ১০০০, ১০০০০ ইত্যাদি সি, এস খতিয়ানে অত্র স্বত্বের বিবরণ ও দখলকার ঘরে ব‍্যাক্তির নাম এবং নামের ডানদিকে অংশ ঘরে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোট জমির পরিমাণ আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল চিহ্ন দ্বারা লেখা থাকে। তাই খতিয়ানে কোন ব্যক্তি কতটুকু সম্পত্তির মালিক তা বের করতে চিহ্নসমূহ জানা প্রয়োজন। ভূমি মন্ত্রণালয় ই-নামজারি ব্যবস্থা চালু করেছে। সফটওয়্যারভিত্তিক এ ব্যবস্থায় উন্নয়নের পাশাপাশি এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, নামজারি সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। জনগণের কাছ থেকে পাওয়া মতামত পর্যালোচনা করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সফটওয়্যারে নতুন নতুন সংশোধন ও সংযোজন করা হচ্ছে। ই-নামজারি কিভাবে করবেন? ই-নামজারি করতে হলে ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর ই-নামজারি আইকনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। আবেদন ফি বাবদ ৭০ টাকা (কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা) অনলাইনে ফি (একপে, উপায়, রকেট, বিকাশ, নগদ, ব্যাংকের কার্ড) পরিশোধ করতে হবে। ই-নামজারি হালনাগাদ তথ্য মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে জানা যাবে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *