রাঙ্গাবালীতে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন: রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশাদিয়া ইউনিয়নে, টুঙ্গিবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূনীর্তি, অসদাচরণ, তহবিল তছরুপ ও কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকা, রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দিবস পালন না করা ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান পিয়েল। এর আগে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সাময়িক বরখাস্থ করা চিঠি থেকে জানা যায়, দূনীর্তি, অসদাচরণ তহবিল তছরুপ ও কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকা, রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দিবস পালন না করা, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে নিজ আত্মীয় স্বজনকে অত্র প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় অদ্য ০৮ জুলাই ২০২৩ তারিখ থেকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছ। আনীত অভিযোগের বিষয়ে বিগত ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ শোকজ নোটিশ প্রেরণ করে আত্মপক্ষ সমার্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু উক্ত সুযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কর্তৃপক্ষকে কোন জবাব প্রদান করেন নি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিকে নিজ সম্পত্তি মনে করে একঘেয়েমী ও খামখেয়ালীপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা চিঠিতে একই সময়ে বিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে বিদ্যালয়টির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট শামীম মিয়া সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জলিল মিয়াকে তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান করে। সেই তদন্তেও প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট শামীম মিয়া বলেন, অসদাচরণ, তহবিল তছরুপ, অতিরিক্ত বিল করা, ৫৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, নিজ পরিবারের লোকদের নিয়োগ প্রদানসহ একাধিক অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।