লালমনিরহাট সদরে বিদ্যুৎতের লোডশেডিংএ অতিষ্ট সাধারণ জনগণ
মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী-
লালমনিরহাট থেকে ::::
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎতের লোডশেডিং অতিষ্ট হয়ে উঠেছে লালমনিরহাট জেলা বাসী । ভ্যাপসা পরা গরম আম কাঁঠাল পাকানো, কিছুটা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে বিদ্যুৎতের ভয়ানক লোডশেডিং,রাত আর দিন নাই, বিদ্যুৎতের ভেল্কীবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সদর উপজেলা সহ পুরো জেলাবাসী, শহর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী পর্যন্ত। অতিষ্ঠ নেসকোর উপর।
দিনে মাথার উপর উতপ্ত সূর্য তো আছেই, ঘন্টায় ঘন্টায় উধাও হয়ে যায় বিদ্যুৎ আর রাতের বেলায় ঘরের ভেতর বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি, স্বস্তি মিলছেনা দিনে বা রাতে কোথা ও। দুপুর , বিকেল, সন্ধ্যা রাত কিংবা ভোর কোনও নিয়ম মানছেনা বিদ্যুৎ চোরেরা,তাঁরা সাধারণ জনগণের সাথে চোর পুলিশ খেলছে যাকে বলে লুকোচুরি। গত সোমবার মঙ্গলবার এবং আজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে সদর উপজেলার বিভিন্ন যায়গায় সারা রাত ছিলনা বিদ্যুৎ।ভ্যাপসা গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোপ দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারনে বিপাকে পড়েছে অটো রিক্সাচালক, দোকানিরা এবং বাদ যায়নি শ্রমিকরাও।
এখন প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে রাতের ঘুম। সারাদিনে রোজগার শেষে বাসায় গিয়ে একটু স্বস্তির আশা করলে বিদুৎতের দেখা মিলছেনা কোন ভাবেই। বিদ্যুৎতের দুর্ভোগ আর সহ্য হয়না।
এবিষয়ে লালমনিরহাটের বিদ্যুৎ অফিসে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অফিস কর্মরত অফিসার বলেন, পাওয়ার স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ পাইনা যার কারনে লোডসেডিং করতে হয় চাহিদার তুলনায় সর্বরাহ কম তাই দুই তিন দিন পর্যন্ত লোড সেট দিচ্ছি। ত্রুটির সমাধান কত দিন লাগবে তা জানাননি।
তার পরে তো আছেই কাল্পনিক বিল ভাওচার তৈরির গল্প, সাধারণ জনগণের দাবি নেক্স কোম্পানির হাত থেকে নিয়ে বিদুৎ বিভাগ কে আরো শক্তি শালী কোম্পানি কে দেওয়া হোক এতে হয়তো ভোগান্তি কমবে। গত মঙ্গলবার বার ৮ঘন্টা বিদুৎ বিহীন ছিল লালমনিরহাট জেলা রেল বিভাগ।