লৌহজং এ ৫৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার ধর্ষণে স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৩ | আপডেট: ৬:১৩ অপরাহ্ণ,

মোঃ বাদল: মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এ ৫৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধার জোরপূর্ব ধর্ষণে কিশোরী (১৪) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বৃদ্ধা গাঁওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের মৃত মঞ্জু বেপারীর ছেলে নুর আলম বেপারী (৫৫)।

 

মামলার বরাত দিয়ে লৌহজং থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর জানান, এ বিষয়টি গত সোমবার ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় এসে লিখিত আকারে আভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

 

ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার পরিবার সূত্র জানা যায়, উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের মৃত মঞ্জু বেপারীর ছেলে নূর আলম গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিলে শাক তুলতে গেলে একা পেয়ে জোরপূর্বক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী খিদিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। পরবর্তীতে নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ অব্যাহত রাখে নূর আলম। মেয়েটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।

 

ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গাঁওদিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইকবাল শিকদারকে ঘটনা টি খুলে বললে তিনি কিশোরীর বাবাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

 

এ ব্যাপারে লৌহজং থানার এস আই আবু বক্কর জানান, ভুক্তভোগী ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা রুবেল শেখ বাদী হয়ে মেয়ের ধর্ষণকারী নুর আলমকে আসামী করে গত ২৩ এপ্রিল সোমবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। পরে বিষয়টি নথিভুক্ত করে ধর্ষণের আসামী নুর আলম বেপারী (৫৫) কে গ্রেফতার করি।

 

এ প্রতিবেদক পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব সিকদারের সাথে নুর আলম বেপারীর চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, নূর আলমের নামে এর আগেও একাধিক মেয়ের সাথে এ ধরনের কুকর্মের অভিযোগ রয়েছে৷

 

এ ব্যাপারে গাঁওদিয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইকবাল সিকদার বলেন, কিশোরীর পরিবার তাকে ধর্ষণের বিষয়ে জানালে সে অভিযুক্ত নূর আলম বেপারীকে জিজ্ঞাসা করলে সে তখন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে। পরে মেম্বার এ বিষয়ে কিশোরী ও তার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য থানায় পাঠিয়ে দেন।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *