শিবপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, থানায় অভিযোগ
মোঃ তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি:::
নরসিংদীর শিবপুরের যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে রবিউল্লাহ ওরফে মিঠু (৩০) এর বিরুদ্ধে। রোববার (০২ জুন) সকালে শিবপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রফিকুল্লাহ এর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার।
অভিযুক্ত রবিউল্লাহ ওরফে মিঠু (৩০) নৌকাঘাটা কোনাপাড়ার গোলাপ মিয়ার ছেলে।
লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর পূর্বে শিবপুর থানার নৌকাঘাটা কোনাপাড়া এলাকার মোঃ গোলাপ মিয়ার ছেলে রবিউল্লাহ এর সাথে মনোহরদী থানার পাচকান্দি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২২) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে ২ লক্ষ টাকার ঘর গুছানোর জিনিস পত্র দেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করছেন সুমাইয়া। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্বামী রবিউল্লাহ সংসারের প্রতি উদাসীন। সে নারী লোভী।
একাধিক নারীর সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। তার অর্থের টানাপড়েন থাকায় স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাবা মরা সংসারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না জানালে সুমাইয়াকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা বেদনা দায়ক জখম করে।
রবিউল্লাহ শনিবার (০১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সুমাইয়াকে মারপিট করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন এসে ফিরায়। এবং বিবাদী মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিবে, সর্ম্পক ছিন্ন করিবে, খুন জখম করবে সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি মূলক হুমকি দিয়ে সুমাইয়াকে ছেলে রাফি (০২) সহ তাহার বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সুমাইয়া আক্তার (২২) জানা, আমাকে সে প্রায় সময় মারধর করত বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য। আমার বাবা মরা ফ্যামিলিতে এমনিতেই কষ্টে দিন পার করছে। এরপর যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত রবিউল্লাহ ওরফে মিঠু (৩০) কে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পরও তিনি রিসিভ করেননি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।