সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মুক্তিজোট
নিজস্ব প্রতিবেদক::::
নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে মুক্তিজোট।
গত ১৯শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিফে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে দেশের সব প্রতিষ্ঠান প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই দেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না বলেন- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের ফলে শেখ হাসিনার দীর্ঘ কতৃত্ববাদী তথা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয়করণকৃত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস হওয়ার চিত্র সাধারণ মানুষ ও বিশ্বের সামনে ফুটে উঠেছে যা সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। আমরা জানি বহুদলীয় শাসনব্যবস্থায় নির্বাচন মারফত কয়েক বছর অন্তর অন্তর সরকার পরিবর্তন ঘটে এবং ‘সরকার পরিবর্তমান’ বৈশিষ্ট্যগত কারণেই ধারাবাহিকতা (Continuity) রক্ষিত হয় প্রধানত প্রশাসনসহ অপরাপর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মারফত। আর এই প্রতিষ্ঠান নির্ভরতার কারণে গণতান্ত্রিক বিশ্বের রাষ্ট্রীয় ভাবনায় এটা প্রায় স্বতঃসিদ্ধ যে ‘গণতন্ত্র সর্বদা প্রাতিষ্ঠানিকতার পথ ধরে স্থিতিশীল হয়’। অর্থাৎ সরকার আসে যায় কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো থেকেই যায়; ফলে রাষ্ট্রের ‘স্থিতিশীলতা’র শর্তে সংকট সমাধানে একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করে তোলায় একমাত্র পথ বলে মনে করে মুক্তিজোট।
২০ শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের পূর্বে রাষ্ট্রের এসকল প্রতিষ্ঠানসমুহের গ্রহণযোগ্য সংস্কার আনা প্রয়োজন। নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে জেঁকে বসা অনাস্থাকে ফিরিয়ে আনতে এ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। সংস্কারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান তাঁরা।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেন সাংবিধানিকভাবে যেহেতু এ দেশের মালিক জনগন তাই এমনভাবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে হবে যেন জনগণকে সরকারের ‘চালক ভূমিকায়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ “জনগণ কেবল সরকার গঠন করবে না, সরকার চালনাও করবে- সরকার প্রসঙ্গে ভোট শুধু একবার নয় বরং সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বারবার।” প্রযুক্তিগত উত্তরণ সাযুজ্যতায় যা সরলীকরণে বলা যায় …দুরে থেকেও যেভাবে মোবাইল ফোনের মধ্যদিয়ে আমরা সংসার চালাচ্ছি, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছি; সেভাবেই জনগণ সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে মতামত দিয়ে সরকার চালাবে বলে দাবী করেন তাঁরা।