সাতক্ষীরায় দই বিক্রিতে সরের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে টিস্যু
মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব- নির্বাহী সম্পাদক:::
সাধারণত দই আমাদের দেশের জনপ্রিয় খাবার। টকও মিষ্টি দই দুই ধরনের দইয়ের প্রচল রয়েছে। অনেকে এটাকে দধি বা দই বলে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেকে টক দইও মিষ্টি দই রাখেন। দধি বা দই হলো এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন থেকে প্রস্তত করা হয়।
ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরী করা হয়। যা দুধের প্রোটিনের উপর কাজ করে দইয়ের স্বাদও অতুলনীয় গন্ধ প্রদান করে থাকে। প্রায় ৪৫০০ বছর যাবৎ মানুষ দধি বা দই তৈরী করছে এবং মানুষ তা খেয়ে আসছে।
এদিকে মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা দইয়ের মধ্যে দুধের সরের পরিবর্তে যদি টিস্যু পেপার দিয়ে সর তৈরী হয় তাহলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেনা একথা অস্বীকার করার নয়। মূলত ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দুধ গরম করার ফলে দুধের উপর একধরনের পাতলাও হালকা হলদে ভাব ক্রিমের আস্তারণ পড়ে থাকে যা দুধের সর নামেই পরিচিত। দুধের সর ব্যাবহারে ত্বকের স্বাভাবিক রং উজ্জ্বল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
দইয়ের পাশাপাশি দুধের সরের অনেক উপকার বিদ্যমান থাকলেও কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যাবসায়ীরা ভোক্তাদের সরলতা এবং বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজাল দই বিক্রি করে ঠকাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরায় অরজিনাল সাগর সুটস নামক একটি মিষ্টির দোকানে দইয়ের উপরের অংশে দুধের স্বরের পরিবর্তে টিস্যু পেপার দিয়ে স্বর তৈরী করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সাগর নামে এক ভোক্তা বলেন,গত ৭ জুলাই রবিবার আনুমানিক রাত -৯টার দিকে তিনি সাতক্ষীরা শহরের আমিনিয়া মার্কেট সংলগ্ন অরজিনাল সাগর সুইটস নামক প্রতিষ্ঠান থেকে ১খুলি দই দুইশত ত্রিশ টাকায় ক্রয় করেন। দই নিয়ে বাড়িতে যেয়ে খাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি।
তিনি দই খাওয়ার সময় তার দাতে শক্ত উপকরণের উপস্থিতি টের পায়। তাৎক্ষণিক তিনি দইয়ের উপরের অংশে দেখেন সরের পরিবর্তে টিস্যু পেপার সাদৃশ্য বস্তু। এরপর তিনি ভালো ভাবে দেখে টিস্যু পেপার বলে নিশ্চিত হন। ভুক্তভোগী ঐ ভোক্তা বলেন, তিনি উল্লেখিত মিষ্টির দোকান থেকে দই কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরস্থ “অরজিনাল সাগর সুইটস্” এর স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশিদ সাগর। দইয়ের সরে ভেজাল দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী সাগর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয় সাতক্ষীরা “অরজিনাল সাগর সুইটস্” এর স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশিদ সাগর এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে দুধের সরের পরিবর্তে টিস্যু পেপার দেওয়ার ব্যাপারে তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয় সাতক্ষীরা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সাতক্ষীরা জেলার সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।