সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদ কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ
ইখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ): মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের কথা বলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী তড়িঘড়ি করে সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদ চার সদস্যর গঠিত নতুন কমিটি সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে দলটির একাংশ।
দীর্ঘ সাত বছর পর গঠিত এই কমিটির পদবঞ্চিত নেতা ও স্থানীয় সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদ নেতারা বলছেন, এটা পকেট কমিটি। গঠনতন্ত্র বর্হিভূত এই কমিটি টাকার বিনিময়ে গঠন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সহ চার জনের নাম ঘোষনার চার দিন পর গত মঙ্গলবার বেলা একটায় সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত শুক্রবার সিরাজদিখান পূজা উদযাপন পরিষদের চার সদস্যের আংশিক কমিটির মৌখিক ঘোষনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরদিন শনিবার সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ হয়।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময় ধরে সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদের নতুন কোনো কমিটি ছিল না। ২০১৬ সালের দিকে একটি আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সভাপতি গোবিন্দ দাস পোদ্দার ও জয়হরি মল্লিক তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকায় সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নেন।
গত শক্রবার ঢাকা কেন্দ্রীয় মন্দ্রির কমিটির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সভা। হঠাৎ শক্রবার ভোটের কথা বলে উপজেলার আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এই কমিটি দেখে সিরাজদিখান উপজেলা পূজাউদযাপন পরিষদের সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, সাংগঠনিকভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়নি। তৃনমূলের কথা না শুনে কেন্দ্রীয় কমিটি কারো কথায় কমিটির কারো নাম ঘোষনা করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি গোবিন্দ দাস পোদ্দার বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে হলে সঠিক হত।
এ বিষয়ে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানদীপ ঘোষের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযেগোর চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হরিষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমি নির্বাচনে বিশ^াসী। নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি খুশি। কেন্দ্রীয় কমিটি কারো টেলিফোন শুনে, নির্বাচন না দিয়ে একতরফা সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করে সিরাজদিখান পূজা উদযাপন পরিষদের চলমান গতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে। আমার ধারণা, আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নেমেছে। একটি চক্র প্রভাবখাটিয়ে টাকা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে সাধারন সম্পাদক হতাম। ভোট ছাড়া কমিটি এটা সিরাজদিখান তৃণমূলের পূজাউদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ মেনে নেবে না। আমি ভোটের মাধ্যমে সিরাজদিখান পূজাউদযাপন পরিষদের কমিটি চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নবকিশোর মজুমদার, বিজন চক্রবর্তী, দেবাশিষ অধিকারী, জুরেন ভক্ত, অসিম বাড়ৈ,দিলীপ মন্ডল প্রমুখ।