হরকলিতে গৃহ-বধুর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের পূর্ব কিশামত হরকলি গ্রামে শাইরিন আক্তার নামের এক গৃহবধ‚র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত শাইরিন আক্তার ওই গ্রামের সুরুজ মিয়ার স্ত্রী এবং একই বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের অরুনেছা গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে। এলাকাবাসীর স‚ত্র জানায়, শাইরিন আক্তার সাথে প্রায় আড়াই বছর আগে বিয়ে হয় সুরুজ মিয়া। বিয়ের পর ভ্যান চালক স্বামীর প্রায়ই ঝগড়া হতো শাইরিন আক্তারের। এরই জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালাতক থাকায় এরপর কি ঘটেছিল তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসীর স‚ত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার গৃহবধু শাইরিন আক্তার গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ৩টার দিকে সে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাইরিন আক্তারের লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিয়ে গোসল করার সময় মৃত্য শাইরিন আক্তারের পরিবার পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে কোতয়ালী সদর থানার ওসি তদন্ত আবু বকর ছিদ্দিক জানান, মৃত্যু গৃহবধ‚ শাইরিন আক্তারের পায়ে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পেয়ে তার পরিবার থানায় সংবাদ দেয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কোতয়ালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাবার পর জানা যাবে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা।