হাজারীবাগে নির্মাণাধীন ভবনে দুষ্কৃতিকারীদের হামলা ও লুটপাট


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কালুনগর মৌজার বেরিবাঁধ এলাকায় মাহাদী নগর ১নং গলিতে নির্মাণাধীন বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ শাকিল আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী।
আজ বেলা ১১ টায় সেগুনবিগিচা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোঃ শাকিল আহমেদ তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে হাজারীবাগের কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কালুনগর মৌজার বেরিবাঁধ এলাকায় মাহাদী নগর ১ নং গলিতে (সি.এস ও এস.এ) ১৭৯ দাগে আর.এস ১৭১৬ এবং সিটি জরিপ দাগ নং ১০২৮ দাগে জনৈক ব্যক্তি মোসাঃ নুরন নাহার ওরফে নুরুন নেহার এর নিকট হতে সাফ কবলা দলিল মূলে ২০ কাঁঠা জমি ক্রয় করি এবং দখল বুঝিয়া মিয়া জমির চারদিকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করিয়া ভোগ দখলের নিয়তে আমার নামে খাজনা খারিজ ও নাম জারি করিয়াছি।
তিনি আরো বলেন, ওই সময় সম্পূর্ণ এলাকাটি নিচু, গর্ত ও জিল টাইপের ছিল। চলাচলের জন্য কোনোরূপ রাস্তাঘাট ছিল না। সেহেতু উক্ত এলাকার আশেপাশের জমির মালিকগণ মিলিয়া একত্রে যার যার জমি ভরাট করেন এবং এলাকার চলাচলের জন্য সকল জমির মালিক গণের সিদ্ধান্ত ও ইচ্ছা অনুযায়ী ১৭৯ দাগের সম্পত্তি হইতে ৬ ফুট এবং ১৭৮ দাগের সম্পত্তি হইতে ৬ ফুট একত্রে ১২ ফুট রাস্তা রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যাহাতে উক্ত রাস্তায় চলাচলকারী উল্লেখিত অতিরিক্ত ডিআইজি গোলাম আব্দুর রউফ সহ প্রত্যেক প্লট মালিকের অনুমোদনের স্বাক্ষর রহিয়াছে।
তিনি আরো বলেন, উক্ত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সুযোগ -সুবিধার কথা চিন্তা করিয়া আমি একটি এক তলা ইমারত নির্মাণ কাজ আরম্ভ করি। নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত ডি আই জি গোলাম আব্দুর রউফ তার সন্ত্রাসী সাংগোপাঙ্গদের নিয়ে আমার নির্মাণ কাজে প্রচন্ডভাবে বাধা প্রদান করে এবং বলে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলাচলের রাস্তা ১২ ফুট না হইয়া ২০ ফুট করিতে হইবে এবং বর্ধিত ৮ ফুট রাস্তা আমাকে এককভাবে দিতে হবে। অতিরিক্ত ৮ ফুট জমি না দিলে আমাকে নির্মাণ কাজ করিতে দেবে না এবং পুলিশের ক্ষমতা আমাকে দেখিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, আমি ইহাতে অসম্মতি জানাইলে তার সঙ্গীয় যোগসাজশী চক্রের মাধ্যমে রাজউক কে ভুল বুঝিয়ে আমি নাকি বেআইনি ভাবে নির্মাণ কাজ করিতেছি মর্মে রাজউকে তার সমর্থিত পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার নামে নোটিশ জারি করে এবং উক্ত নোটিশটি রাজউক সরাসরি আমাকে না দিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের মাধ্যমে আমার নিকট প্রেরণ করে।
শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমি বহু টাকা ব্যয় করে সর্বশ্রান্ত হইয়া পড়েছি, আমি নিরুপায়। আমি বুঝে উঠতে পারতেছি না এখন আমার কি করা উচিত। উল্লেখিত ডিআইজি সাহেব তার ক্রয়কৃত তিন কাঠা জমির মালিক হইয়া ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে আমার জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়াইয়া আমার সাজানো জীবন তছনছ করিয়া দেবে বলিয়া হুমকি দেয় এবং আমাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে সর্বশ্রান্ত করার চেষ্টা করে আসিতেছে ।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত, আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তাই সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশের আইজিপির নিকট সুবিচার চাহিয়া ইতিমধ্যে আমি আবেদন করিয়াছি।
ছনুয়া মনুমিয়াজি বাজারে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন তার পিতা নাছির উদ্দীন সওদাগর। কিন্তু ২০১৮ সালে রাজনৈতিক পেশীশক্তি ব্যবহার করে তার বাবাকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করেন বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি গংরা। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনরায় দোকানের কাজ শুরু করলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের মাধ্যমে পুনরায় কাজে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি এই প্রধান শিক্ষক উদ্দেশ্য হাসিলে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট করে। আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এদিকে ঘটনার ব্যপারে জানার জন্য ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনকে মোবাইলে কল করলেও ফোন রিসিভ না করাতে কথা বলা সম্ভব হয়নি।