১৮ই জিলহজ্ব ইসলামের ইতিহাসে একটি স্মরনীয় দিন 

প্রকাশিত: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪ | আপডেট: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ,

দশম হিজরীর এ দিনে রাসুলে খোদা [ﷺ]যে ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন –

“আমি যার মাওলা, আলী ও তার মাওলা ”
তারই আলোকে এ দিনটি উদযাপিত হয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে। আজ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পাক পাঞ্জাতন মাইজভান্ডারী আস্তানা শরীফে সুফি শুভ শাহ্ পাঞ্জাতনী মাইজভান্ডারী আয়োজনে যথাযত মর্যাদায় ঈদে গাদীর ঘুম অনুষ্ঠিত হয়েছে

 

মরু আরবের মুসাফির বা বাণিজ্য কাফেলাগুলো সাধারণত এই ছোট্ট জলাশয়ের পাশে সাময়িক বিশ্রামের জন্যে অবস্থান করতো ।
আল্লাহর রাসুল [ﷺ] যখন এই স্থানে এসে পৌঁছলেন তখন হযরত জিব্রাইল (আ) সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নিয়ে হাজির হলেন । বলা হলো- “হে রাসুল ! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তুমি সবার কাছে পৌঁছে দাও , যদি তা না কর তাহলে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না।”

রাসুলে খোদা [ﷺ] আল্লাহর নির্দেশ পাওয়ার পর দায়িত্বের এই বোঝা থেকে মুক্ত হতে উদ্যোগী হলেন। তিনি সবাইকে সমবেত হতে বললেন।
লক্ষাধিক সাহাবা রাঃ’র সামনে রাসূল [ﷺ] জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আমার সাহাবাগণ, তোমরা কি জানো, আমি মুমিনদের নিজেদের জীবনের চাইতেও অতি আপন?’ লক্ষাধিক সাহাবা সমস্বরে উত্তর দিলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জানি, আপনি আমাদের নিজেদের জীবনের চাইতেও অতি আপন’।

এরপর মদিনা-মুনিব আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আমার প্রিয় সাহাবাগণ, তোমরা কি জানো, আমি তোমাদের সবার জীবনের অধিকারী (হাকিম অর্থাৎ মুমিনদের জীবনের উপর আজীজ বা ক্ষমতাশালী)’। আবারো লক্ষাধিক সাহাবা সমস্বরে উত্তর দিলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা জানি ও মানি’।

গাদিরে খুমে নিজের বেলায়েতের এবং অভিভাবকত্বের ঘোষণা দেবার পর রাউফুর রাহীম রাসূল [ﷺ] মওলা আলী আলাইহিস সালাম এর হাত ধরে উপরে তুলে লক্ষাধিক সাহাবার উদ্দেশ্যে আবারো পূর্বের প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলেন,
‘তোমরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি তোমাদের সবার জীবনের আওলা অর্থাৎ অভিভাবক’
সবাই আবারো একইভাবে তা স্বীকার করে সম্মতিসূচক উত্তর দিলেন, ‘আপনি সত্য বলছেন ইয়া রাসূলাল্লাহ [ﷺ], আপনি সমস্ত মুমিনদের জীবনের অলি বা অভিভাবক’। এবার রাসূল-প্রিতম ঘোষণা করলেন, ‘তাহলে শোনো, আমি যার মওলা, এই আলীও তার মওলা।’❤️



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *