পাবনায় বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে অনুপস্থিত টেবুনিয়া বিএডিসি কর্মকর্তা


মোঃ নুরুন্নবী পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার টেবুনিয়া বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে কর্মরত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর সহকারী পরিচালক (বীপ্র) কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান খানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠার পরও তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—এমন অভিযোগ স্থানীয়দের ও সহকর্মীদের।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে অনুমোদন ছাড়াই টানা ২১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন এই কর্মকর্তা। বারবার শোকজ করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরে বিষয়টি তদন্তে নিয়ে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিএডিসির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নং-২৩/২০২৩) রুজু করা হয়।
তদন্ত শেষে কঠোর শাস্তির পরিবর্তে তাকে সতর্কবার্তা দিয়ে ভবিষ্যতে নিয়মিত অফিস করার লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সেই নিষ্পত্তির পরও তিনি গত ৬-৭ মাস ধরে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন না।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে তার অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে, দীর্ঘদিন তাকে দেখা যায়নি অফিসে। তবুও তিনি নিয়মিতভাবে সরকারি বেতন উত্তোলন করছেন। এতে সহকর্মী ও সংশ্লিষ্ট মহলে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে টেবুনিয়া বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র) মো. মহিবুর রহমান বলেন, “বারবার শোকজ করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। মামলা নিষ্পত্তির পরও অফিসে না আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।
বিএডিসি কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০ অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়ম এবং অসদাচরণ শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। কিন্তু এতসব অনুপস্থিতি ও অনিয়ম সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে পদে বহাল থাকায় প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান খানের সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, “অদৃশ্য প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদেই” তিনি বারবার শাস্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, যদি এমন ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকে তবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খাত পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসির দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।
তদন্ত ও কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও সহকর্মীরা।