সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ: নাগরিক কোয়ালিশনের মতবিনিময়সভায় বক্তারা

প্রকাশিত: 10:05 am, September 12, 2025 | আপডেট: 10:05 am,

সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ : সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়সভা
সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ: নাগরিক কোয়ালিশনের মতবিনিময়সভায় বক্তারা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম এগোলেও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এখনও বড় চ্যালেঞ্জ—এমন মত দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ : সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এবং মুক্ত গণমাধ্যমই অবাধ নির্বাচনের রক্ষাকবচ।” তিনি সংবিধান সংশোধন সংসদেই করার ওপর জোর দেন এবং বলেন, ভবিষ্যতে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে—এমন কোনো দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা উচিত নয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের একটি পরীক্ষামূলক মডেল ছিল। সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি। ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আট লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন।” তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও জনগণের অংশগ্রহণকেই তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের মূল শর্ত হিসেবে দেখেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা জরুরি।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচন ম্যানিপুলেশনে প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটালিস্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রি-ইলেকশন চ্যালেঞ্জের মধ্যে এজেন্সি ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের রাজনীতির প্রভাব থেকে কীভাবে আলাদা করা যায়, সেটি বড় প্রশ্ন।”

সভায় বক্তারা একমত হন যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার পরিবেশ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং সকল পক্ষের সমঝোতা এখন সময়ের দাবি।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *