পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের অশ্লীল নগ্ন ভিডিও ফাঁস
মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব: পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস’র অশ্লীল নগ্ন ভিডিও ফুটেজ ফাঁসে নেট দুনিয়ায় তোল পাড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও কলে এক কিশোরীর সাথে ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড ডিজিটাল সেক্স ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসেছে । গত কয়েক দিন উপজেলায় টক অফ দা টাউন। ভিডিওটি তরুণ যুবকরা মুঠোফোনে হুড়মুড়িয়ে দেখছে যা অভিভাবক মহল রীতিমতো দুর্চিন্তায় পড়েছেন। এ অশ্লীল ভিডিও শুধু দেখছে না, তাদের মুঠোফোনে শেয়ার নিচ্ছে। দ্রত ছড়িয়ে পড়ছে সব বয়সী মানুষের মুঠোফোনে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রভাবশালী এ নেতার এমন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দেখে যুব সমাজ বিপদগামী হবে। তার ইউনিয়নের নারী সমাজ নিরাপদ নয় বলেও মন্তব্য করেন। এক যুবক আরিয়ন তুফান রায় তার নিজ আইডিতে লিখেছেন, চেয়ারম্যানের নুচ্চামি ভিডিও ফাঁস। শেষবেশ এটাও বাকি ছিলো দেখার। এতো নিচো ভাবা যায়। ছি ছি ছি। এমডি আলম কমেন্ট করেন, এক আনা, দুই আনা, তিনআনা, চারআনা, পরে দেখা যায় ১৬ আনা। তখন ই কোন না কোন হয় দুর্ঘটনা।
মঙ্গলবার প্যানেল চেয়ারম্যান সহ ঐ ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্যের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, আমাদের অনেক মেম্বরমহোদয় ভিডিওটি দেখেছি। ধিক্কার জানায় এমন ঘটনায়, লজ্জায় পরিষদে চেয়ারম্যানের সামনে যেতে পাচ্ছি না। ঘটনা কি মানুষ জানতে চাইছে, বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। লতা ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি রাধীকা গোলদার বলেন, দীর্ঘদিন তার সাথে চলি, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সাধারন সম্পাদক রত্না মন্ডল বলেন, শুনেছি, তবে দেখিনি, কাঙ্কিত ও পরিকল্পিত, আপনারা সাংবাদিক লিখতে পারেন। ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস’র মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডিও ফুটেজ অফিসে সংরক্ষিত আছে।