পটুয়াখালীতে মাদক ব্যবসায়ী ত্রিপল মামলার আসামী ফের কারাগারে
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন): পটুয়াখালীর জেলা জর্জ আদালতে তিন মামলার আসামী মো,আশরাফুল হাওলাদার এর মধ্যে অন্যতম সি/আর ৬০৬ মামলার প্রধান আসামী পটুয়াখালী সদর উপজেলা মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের বাজার গোনা এলাকায় মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন এর জমিতে জোর পূর্বক ঘড় তোলা এবং বাদী দেলোয়ার ও ছেলেসহ ৮০ বছরের বৃদ্ধ মাতার হাত পিটিয়ে গুরুতর আহত হওয়ার মামলায় পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাৃ্মদ জামাল হোসেন আসামী আশরাফুল হাং (২৬) কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উক্ত ৬০৬/২৩ ইং সি-আর মামলার আসামী আশরাফুল হাওলাদারকে গত ২৬ জুন ২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত ছয় সপ্তাহের জামিনে থাকার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমীনুল ইসলামের আদালত। পটুয়াখালী জেলা জর্জ আদালতের ওয়ারেন্ট থাকায় এস,আই,মিজান মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের বাজার গোনা এলাকার যান ডিউটরত অবস্থায়। এসময় হাইকোর্টের কাগজ নিয়ে দেখা করতে বলেন আশরাফুল ও পিতা লতিফ হাওদারকে। ঐ সময় তারা নিজেরাই হুন্ডা যোগে আসেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান এর সাথে কথা বলতে। প্রয়োজনীয় কাগজ না পেয়ে বাপ ছেলেকো পাঠিয়ে দেন কার্টো। ঐ দিন শুক্রবার বিকেলে অ্যাডভোকেট আলামিন দরখাস্তের মাধ্যমে বিচারপতি অ্যাডভোকের জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন।
গত সোমবার ( ৩রা জুলাই) সকালে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন শুনানী করলে বিচারক মোঃ জামাল হোসেন জাবিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এ ব্যপারে মামলার বাদী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, আশরাফুল হাং,লতিফ হাং,জাহানারা বেগম, মিম,আল-আমিনসহ আরে অনেকে আমার বসত বাড়িতে জোর পূর্বক ঘড় তোলেন শুধু তাই নয় আশরাফুল বাজার ঘোনা এলাকায় মাদক ইয়াবা বেচাকেনাই তার প্রধান কাজ।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে যুগান্তরে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে স্কুল শিক্ষার্থী আশরাফুল জেল হাজতে। প্রকৃতপক্ষে এই আশরাফুল কোন স্কুল ছাত্র নয়। সে একজন মাদক ব্যআসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আমরা এই ভূমিদস্যু মাদক পরিবারের হাত থেকে পরিত্রান চাই। পাশাপাশি
আমার পত্রিক সম্পত্তি খতিয়ান নং ১৯৭,২৯৪ যার এস,এ দাগ ১১৮০,১১৮১, ৮৬,৯০ সম্পত্তিতে জোড় পূর্বক দখল দিতে আসেন প্রতিনয়ত। আমি অত্যান্ত গরীব অসহায় হতদরিদ্র আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি প্রশাসনের প্রতি আমার আস্থা আছে, বিঞ্জ আদালতের কাছে আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
উল্লেখ্যঃ চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামী আশরাফুল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে আরো জানা যায় পটুয়াখালী আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, উল্লেখিত দ্রুত বিচার মামলা ৬৭/২৩, এম. পি. মামলা নং- ৩৬৯/ ২৩ ইং এর মধ্যে অন্যতম।
উক্ত মামলার বিষয় বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট মো,মজিবর রহমান টোটন মিয়া জানান, আপনারা জানেন উক্ত মামলাটি হাইকোর্টের ছয় সপ্তাহের অন্তরবর্তী কালীন সময় ধার্য্য করে ছিলেন। গত ২৭ জুন পর্যন্ত মেয়াদ ছিল। ঈদের কারনে হিয়ারিং এর তারিখ অদ্য ৩রা জুলাই থাকাতে আসামী আশরাফুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩২৯/৩০৭ ধারা থাকায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাৃ্ম্মদ জামাল হোসেন আসামী আশরাফুলকে জেল হাজতে পাঠান। অন্য আসামীরা জামিন পান বলে জানান তিনি।
এবিষয় মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো,মাসুম মৃর্ধার মুঠোফোনে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে আমরা একাধিক বার শালিশ বৈঠকে বসেছি আমরা পাচজনে রোয়েদাদ এ শই করে দিয়েছি এবং শালিশ বৈঠকে টিটু ও ছিল সে শই করেনি। আমরা শালিশগনরা কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে জানিয়ে দিয়েছি দেলোয়ার কোন জমি পাবেনা। কিন্তুু সে আমাদের শালিশ মানেনা। এই দেলোয়ার টিটুর লোক। দেলোয়ারের মা ৮০ বছরের বৃদ্ধার হাত ভাংঙ্গার বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন আমার জানামতে তার হাত কেউ পিটিয়ে ভাঙ্গেনি পাচার খেয়ে ঐ বৃদ্ধ মহিলার হাত ভেঙ্গেছে। শালিশ বৈঠকেের রোয়েদাদ এর ব্যপারে জানতে চাইলে জানান,রোয়েদাদ দোলোয়ারের কাছেই আছে আপনি খোজ নিয়ে জানতে পারেন বলে জানান তিনি।