সিরাজদিখানে তুচ্ছ ঘটনায় হামলা : মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে যুবক
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের দক্ষিন কোলা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে মোঃ মঈন (৪০) নামের এক যুবক । এঘটনায় আজ রবিবার আহতদের পরিবার সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত শনিবার (১২ আগস্ট )রাত পৌনে ৮টায় কোলা ইউনিয়নের তুহিন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শারিরিক নির্যাতনে শিকার মঈন প্রায় মানসিক রোগীর মতো হয়ে যায়। গুরুত্বর আহত সালেহা বেগম ও মঈনকে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইছাপুরা হাসপাতালে পরে তার কোন উন্নতি না হওয়ায় তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে মোঃ মঈনের শাশুড়ি হালিমা বেগমমের সাথে কথা বলে জানাযায় , আমার মেয়েওে জামাই াামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তুচ্ছ গাছ নিয়ে ঝগড়া করে পাশের বাড়ির সুমন শেখ,রুমন শেখ ও হুমায়ুন শেখ ভাড়া করা লোকজন নিয়ে এসে আমার দুই ছেলে এক মেয়ে ও মেয়র জামাইকে বেধরক মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে ফেলেছে। ওরা আমার ও আমার মেয়ে সোনীয়ার ঘড়ে ঢোকে মারধর করে জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতা হানি করলে আমার মেয়ের জামাই মঈন তাতে বাঁধা দিলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে,আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। তাদের নির্মম হামলায় আমার মেয়ে সোনিায়া ও মেয়ের জামাই মঈন গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ এ কে এম তাইফুল হক জানান মঈন বেগমের যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হয়তো মাথায় এবং শরীরে প্রচন্ড আঘাতের কারনেও হতে পারে। বাকিটা মাথাা বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর বুঝা যাবে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ রুমন শেখ ও তার স্ত্রী মীম আক্তার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীণ। আসল ঘটনা হলো আমাদেও বোনা কহি গাছ ওরা কেটে ফেলে কথা কাটা কাটি হয়েছে। ঘটনার সময় আমার স্বামী ভাষুর কেউ বাড়ি ছিল না।
এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন,তুচ্ছ ঘটনায় এ মারামারি হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১১টায় কোলা ইউনিয়ন পরিষদের দুই পক্ষের শালিশ ডাকা হয়েছিল। সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।