৩২ ঘণ্টার পর মুন্নার মরদেহ উদ্ধার, অপর বন্ধু নাইসের হদিস মেলেনি
হীমেল কুমার মিত্র: গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া আবাসনপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে মুন্না মিয়া (১৮) এবং নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বর হোসেনের ছেলে নাইস আহমেদ (১৯) দুজনেই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নাইস বিদিতর হরিনাথ এলাকায় তার নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো। তারা গত বুধবার সকাল ১১টায় নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে গোসলের সময় পানিতে তলিয়ে যায়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী দুই বন্ধু নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর মুন্না মিয়ার (১৮) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তিস্তায় ভেসে উঠল এক বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ।
(০৭ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী ব্যাঙপাড়া এলাকায় ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তিস্তায় ভেসে মুন্না মিয়ার মরদেহ। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গংগাচড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মমতাজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তহিবুর রহমান বলেন, রাত ৯টার দিকে পাইকান ব্যাংক পাড়া এলাকায় তিস্তা নদীর কিনারায় একটি মরদেহ ভেসে যেতে দেখলে আমরা কয়েকজন নদী থেকে তুলে আনি। পরে স্থানীয়রা নিখোঁজদের পরিবার ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মমতাজুল ইসলাম জানান, ‘আমরা একটি মরদেহ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’