আমেরিকা প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগকৃত ১২ কোটি টাকা ঝুঁকির মধ্যে; তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয়ভীতি
নিজস্ব সংবাদদাতা:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করার যে আহবান জানিয়েছেন, সে আহবানে সারা দিয়ে আমেরিকা প্রবাসী জিনাত রিজওয়ানা ও তার স্বামী মোঃ গোলাম সারোয়ার সুদূর প্রবাসে থেকে তাদের কাষ্টার্জিত ১২ কোটি টাকা দেশের “বেঙ্গল হোটেল এন্ড হসপিটালিটি লিঃ” নামক একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের নামে ১২ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করে। আর উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন সিলেট- ২ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী। ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়, গত ৩ বছর আগে আমেরিকা প্রবাসী বিনিয়োগকারী জিনাত রিজওয়ানার সাথে পরিচয় হয় ইয়াহইয়া চৌধুরীর। পরিচয় সুবাদে রিজওয়ানা জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রবাসীদেরকে দেশে বিনিয়োগের জন্য আহবান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে আমি ও আমার স্বামী দেশে বিনিয়োগ করতে চাই। তখন ইয়াহইয়া চৌধুরী তাদেরকে তার প্রতিষ্ঠান “বেঙ্গল হোটেল এন্ড হসপিটালিটি লিঃ” এ বিনিয়োগ করতে বলেন। তখন জিনাত রিজওয়ানা ও তার স্বামী মোঃ গোলাম সারোয়ার ২০২২ সালের জুলাই মাসে ঐ প্রতিষ্ঠানে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। ২০২৪ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগের টাকার হিসাব চাইলে “বেঙ্গল হোটেল এন্ড হসপিটালিটি লিঃ” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াহইয়া চৌধুরী তাদেরকে হিসাব দিতে বা হিসাব জানাতে গরিমসি শুরু করেন। বার বার তাকে হিসাব দেওয়ার জন্য বললে সে এক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভতি ও হুমকী ধামকী প্রদান করেন। এবং গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীর স্টাফ ও সিকিউরিটি গার্ড সবুজ হাওলাদার এবং মুরাদকে প্রতিষ্ঠানের এমডি ইয়াহইয়া চৌধুরী ও তার সাথে আসা ৭-৮ জন চেয়ার এর সাথে হাত পা ও মুখ বেধে বেধারক পেটায় এবং একপর্যায়ে মুরাদের কান দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়। তাদেরকে মারতেছে এমন সংবাদ পেয়ে দারোয়ান সবুজের বড় ভাই সোহেল যিনি বিনিয়োগকারী রিজওয়ানার মায়ের ড্রাইভার – ভাইকে উদ্ধারে উক্ত স্থানে পৌছালে তাকেও তারা ধরে বিধারক পিটিয়ে তার পা দুটি ভেঙ্গে দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে লোহার রড় দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে জখম করে। রিজওয়ানা তার টাকা বিনিয়োগকৃত স্থানে কিছু একটা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দুপুরে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চায়। দুপুর ১ টায় তার ভাই খন্দকার শোয়েব আরিয়ান অংকন ঘটনা স্থলে গেলে তারা রেজওয়ানার ড্রাইভার আফজালকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। খন্দকার শোয়েব আরিয়ান অংকনের দিকে পিস্তল তাক করলে সে ভয়ে চলে আসে। তারা অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং বিনিয়োগকারীকে হুমকি ধামকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বিনিয়োগকারী মামলা করতে উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলে পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ রাখে। যেখানে প্রতিষ্ঠানের এমডি ইয়াহইয়াকে ১ নং অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তারা হলেন, জনি মিয়া, কাজী রবিন, আনোয়ার, ফরহাদ হোসেন, সাহেদ ও রাজিব। থানার পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দেন। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত পুলিশ আহতদের কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি, কোনো তথ্য জানতে চাননি, এবং অভিযুক্ত কাউকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।