নদীর অবৈধ দাখলদারদের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছেন অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক:::
প্রভাবশালীদের ষড়যন্ত্রের সাথে পেরে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর ও পরিবহন এর অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে প্রভাবশালীদের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছেন সরকারের এই সাহসী কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে নামে বেনামে পাঠানো হচ্ছে একেরপর এক ভিত্তিহীন সব অভিযোগ। লেখালেখি হচ্ছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। নষ্ট করা হচ্ছে তার ভাবমূর্তি। সরকারি দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৯ সালের শুরুতেই। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যার তীরে বিআইডব্লিউটিএ যে অভিযান চালায় তাতে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সে সময়ের যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম আরিফ উদ্দিন। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালন ও সহসীকতা দিয়ে নদীর তীর উদ্ধার করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে সরকার তাকে অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদন্নোতি দেয়। সরকার তার দক্ষতা, সাহসীকতা ও অভিজ্ঞতাকে আরো বড় পরিসরে কাজে লাগাতে চেয়েছে বলে তাকে পদন্নোতি দিয়েছে বলে তখন অভিজ্ঞ মহল মন্তব্য করেছিলো। সাহসী এ কে এম আরিফ উদ্দিন নদী খেকো সমাজের প্রভাবসালীদের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সরকারের হয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিলেন। ভেঙ্গে দিয়ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের একাধিক স্থাপনা, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সাংসদ আসলামুল হকের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের বাড়ি। এছাড়া নদী দখল করে প্রভাবশালী ডেভলপার্স প্রতিষ্ঠান আমিন মোমেন হাউজিং একটি এলাকা গড়েছিল। সে জায়গা উচ্ছেদ করে সেখানে পুনরায় পানির প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি আরো ভেঙ্গে দিয়েছেন বেড়িবাঁধ সিকসনের (হাতির ঘাট) বিপরীতে কামরাঙ্গীর চরের রনি মার্কেট এলাকা। বেড়িবাঁধ ইসলামবাগ থেকে কোম্পানিঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের পাড় ঘেঁষে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিলো বিপুল পরিমান অবৈধ স্থাপনা। এর মধ্যে ছিলো পাকা, আধাপাকা ও টিনের ঘর, রিকশার গ্যারেজ, ট্রাক স্ট্যান্ড, ট্রেম্পু স্ট্যান্ড, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কারখানা ছিলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও। নদীর জায়গা উদ্ধারে ভেঙ্গে দিয়েছেন সব অবৈধ স্থপনা। যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন পালন করছেন যখন সরকারি দায়িত্ব আর তখন সে হয়েছেন অবৈধ দখলদারদের শত্রু। নদী দখলদারগণ যখন কোর্ট কাচারী করেও তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখতে পারে নাই তখনই তারা শুরু করেছে বিআইডব্লিউটি-এর সাহসী নির্ভীক কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। নামে বেনামে অভিযোগ পাঠাচ্ছে দুদকে ও মন্ত্রণালয়ে। প্রকাশ করানো হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে তার বিরুদ্ধে নিউজ। ক্ষুন্ন করছে তার ভাবমূর্তি ও সুনাম। নদীর জায়গা উদ্ধারে এ কে এম আরিফ উদ্দিন যে সাহসীকতা, সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, রাষ্ট্রের প্রতি সেবার দেওয়ায় চারো দিকে তার যে সুনাম ছড়িয়ে পরেছে তা ধ্বংস করতে নদী খেকো অবৈধ দখলদাররা ষড়যন্ত্রের ঢাল-পালা ছড়িয়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যক্তিগত আক্রমন করছে। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। এটা ষড়যন্ত্রকারীদের মাথায় নেই। একজন দক্ষ ও সাহসী কর্মকর্তার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা পেতে হলে তাকে প্রেশার মুক্ত কাজের পরিবেশ দিতে হবে বলে মনে করেন দেশের অভিজ্ঞ মহল।