কোটা আন্দোলনে নিহতদের যথাযথ তদন্ত করে বিচার ও গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদের মুক্তি দেয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি মুক্তিজোটের
নিজউ ডেস্ক :::
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী তথা সরকারি চাকরীতে কোটা আইন বাতিলের আন্দোলনে যে সকল সাধারণ ছাত্র, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন তার যথাযথ তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচারের দাবিসহ গ্রেপ্তার কৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্ন।
১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এর গণমাধ্যমে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শুরুতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ কিন্তু তা সমাধানে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ক্রমে ক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমা থেকে বের হয়ে রাজপথে চলে আসে যা প্রথমে গণমানুষের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। এমনকি সময় গড়ানোর সাথে সাথে তা আর শুধু সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে না থেকে সাধারণ মানুষ, অভিভাবক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নৈতিক সমর্থন পাওয়াসহ রাজপথের আন্দোলন তীব্র হতে থাকে যা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনসহ সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনসমূহ সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে এবং এ আন্দোলনে অনেকেই আহত ও নিহত হন। এমনকি বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে যা গণ মানুষের মধ্যে ভিতির সঞ্চার করে এমনকি দেশের চরম আর্থিক ক্ষতিসাধনও হয়। যার কারণে আন্তর্জাতিক ভাবেও দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ হচ্ছে ।
এমতাঅবস্থায় সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনার জন্য কারফিউ পর্যন্ত জারি করতে হয় যা একেবারেই অপ্রতাশিত।
যৌথ বিবৃতিতে তারা সরকারের কাছে প্রত্যাশা করেন যতদ্রুত সম্ভব সরকার এ আন্দোলনে যে সকল সাধারণ ছাত্র, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন তার যথাযথ তদন্ত করে বিচার করবেন। কারফিউ তুলে নিয়ে আন্দোলনের সময় বন্ধ করে দেওয়া এইচ এস সি পরীক্ষা ও হাইস্কুলগুলোর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেওয়াসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান সংগঠনটি।